বিজয়ী জাতি কখনো মাথা নত করে না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। মর্যাদাশীল, আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। আমরা বিজয়ী জাতি, বিজয়ী জাতি কখনো কারো কাছে মাথা নত করে না।
শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণপদক, ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্যপদক এবং ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গ্রাম ও কৃষিকে অর্থনীতির মূল কেন্দ্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষিই হচ্ছে আমাদের প্রাণ। আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশে দারিদ্র্যের হার ক্রমেই কমছে। এখনো আগামী চারবছর ক্ষমতায় থাকবো। এই চারবছরের মধ্যে ১০ ভাগ দারিদ্র হ্রাস করতে সক্ষম হবো।’
কৃষককে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার কম করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে কৃষকেরা রাসায়নিক সার বিশেষ করে ইউরিয়া সারের ওপর বেশি নির্ভরশীল। এসব রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির গুণাগুণ নষ্ট হয়। পোকামাকড়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে আলোর ফাঁদ জাতীয় পদ্ধতি ব্যবহার করুন। সমন্বিত বালাইনাশক পদ্ধতি ব্যবহার করে জমির উর্বরতা ধরে রাখুন।’
সরকার কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের অপচয় রোধের পাশাপাশি সেচ প্রদানকালে পানির অপচয় রোধেও সচেতন হতে হবে। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কৃষকদের সুষম সার ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন।’
কৃষিতে সহায়তা দিতে গেলে অনেক আর্ন্তজাতিক সংস্থা আছে যারা অনেক সময় বাধা দেয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বাধা ১৯৯৬ সাল থেকেই শুরু হয়েছে। আমরা বিদেশি কোন সংস্থার কথা কান দেইনি, দেশের প্রয়োজনে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই