যেভাবে ঘুমের অভাবে সৌন্দর্যহীন আপনি

স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য যে পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এখানে জেনে নিন, ঘুমের অভাবে আপনার চেহারা ও সৌন্দর্য কিভাবে বদলে যেতে পারে।

ঘুমের অভাব ব্যাপক প্রভাব ফেলে মানুষের দেহে-মনে। এর প্রভাবে জীবনটাই বদলে যাবে আপনার। কি কি ঘটতে পারে জেনে নিন।

১. যখন ঘুমের অভাবে ভুগবেন তখন আপনার ধমনী স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারবে না। তাদের যতটা সুস্থতা দরকার ততটা সুস্থ থাকতে পারে না তারা। এতে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। আবার ত্বককেও মূল্য দিতে হবে। ত্বকে সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচল না করলে তা ফ্যাকাশে দেখাবে। এটা শুষ্ক ও মলিন হয়ে যাবে। কিন্তু ঘুমের মাধ্যমে এ অবস্থার উন্নতি ঘটতে পারে।

২. কেউ তার চেহারায় বলিরেখা দেখতে চায় না। কিন্তু ঘুমের অভাবে বলিরেখা পড়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরাণ্বিত করা হয়। রক্ত চলাচলের অভাবে ত্বক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর ক্লান্ত ত্বকে দ্রুত ভাঁজ পড়ে যায়। এ অবস্থা বেশ কিছু দিন ধরে চলতে থাকলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যাবে। ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারাবে। এ ছাড়া ঘুমের অভাবে ক্লান্তি ভর করে। ক্লান্তভাব চেহারাকে আরো বুড়িয়ে দেয়।

৩. একমাত্র বলিরেখাই কিন্তু আপনাকে বয়স্ক করে দেয় না। জৈবিক উপায়েও বুড়িয়ে যাবেন আপনি। ঘুম না হলে দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ ঘটে যাকে বলা হয় স্ট্রেস হরমোন। এই হরমোন কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে আপনার যতটা বয়স, তার চেয়ে অনেক বেশি বুড়ো দেখাবে। বয়স ধরে রাখতে তাই দরকার ঘুম।

৪. হিউম্যান গ্রোথ হরমোনের ক্ষরণ বাধাগ্রস্ত হয় ঘুমের অভাবে। এই হরমোন ত্বকের মেরামত ও একে রক্ষণাবেক্ষণ করে। যখন আপনি ঘুমান তখন এই হরমোন তার কাজ করতে থাকে। ঘুমের ব্যাঘাত গোটা প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। হয়তো ভাববেন, আপনি বড় হয়ে গেছেন। তাই হিউম্যান গ্রোথ হরমোন আর লাগবে না আপনার। কিন্তু এই হরমোন আপনার বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক মেরামত হতে না যদি ঘুমের অভাব থাকে।

৫. মন-মেজাজ বদলে যাবে। আর তার প্রভাব পড়বে আপনার ওপর। আপনার মধ্য থেকে স্মার্টনেস চলে যাবে। একটু খিটখিটে মেজাজের হয়ে যেতে পারেন। আগের মতো আর সুন্দর লাগবে না আপনাকে। চেহারা ও আচরণে রুক্ষতা চলে আসবে।

৬. সব মানুষের ত্বকে কোনো ক্রনিক কন্ডিশন থাকে। যেমন- অনেকেরই একজিমা রয়েছে। এগুলো দেখতে খুবই খারাপ লাগে। এ বিষয়টি প্রমাণিত যে, ঘুমের অভাবে ত্বকে এমন অনেক ক্রনিক কন্ডিশন দেখা দিতে থাকে। যদি ত্বকে এমন সমস্যা থাকে তো ঘুমে মনোযোগ দিন। ঘুমের অভাবের কারণেই এমনটা ঘটার সম্ভাবনা অনেক। পর্যাপ্ত ঘুম দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

৭. ওজন বৃদ্ধির কথা সবাই জানেন। ঘুমের অভাবে কিন্তু দেহের ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে। ঘুমের অভাবে ক্ষুধা সংক্রান্ত হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে চোখের সামনে যা দেখবেন তাই খেতে মন চাইবে। আর বেশি বেশি খাওয়া মানেই ওজন বৃদ্ধি। যথেষ্ট ঘুম না হলে সব সময় আপনার ক্ষুধা বেশি থাকবে। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমের কারণে দেখবেন, খুব বেশি ক্ষুধা লাগবে না। এটি স্বাভাবিক থাকবে। সূত্র: ইন্টারনেট



মন্তব্য চালু নেই