সহকারী কমিশনার (ভূমি) উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনে অস্ট্রেলিয়ায় গমন
হামিদা আক্তার, (নীলফামারী) : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায় ১ বছর মেয়াদে অস্ট্রেলিয়া গমন করছেন বলে একটি নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানা গেছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলব্রোনের মোনাস ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা কাজে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তিনি সরকারী কর্মজীবনে তিনি সততা, নিষ্ঠাবান, কর্মচাঞ্চল্য ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছিলেন বলেও সুত্রটি জানিয়েছে। তিনি উক্ত পদে জেলার ডিমলা উপজেলায় ২৬ আগস্ট/১৫ যোগদান করে তার সরকারী কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনে তিনি দায়িত্ব পালনে ছিলেন অকুতোভয় ও নির্ভিক। কর্মজীবনের তিনি কখনও অফিসের কাজে ফাঁকি দিতেন না। অবসর সময়ে তিনি মাটি ও মানুষের সংর্স্পই ছিলেন। এ কারনে তিনি সরকারী অফিসের কার্যলয়ের বাইরেও যেন মানুষ তার মনের কথা মন খুলে বলতে পারেন সে লক্ষে তিনি তার কার্যালয়ের সামনেই নির্মাণ করেছেন একটি বিচারিক কার্যালয় ”মাটির পরশ”। যা অত্র এলাকার মানুষের মন কেঁেড় নিয়েছে। সাধারণ খেটের খাওয়া মানুষগুলি খোলা মনে সেই ”মাটির পরশে” বসেই কথা বলতেন উক্ত সহাকারী কমিশনানের সাথে। বেশকিছু কৃষক ও সাধারণ মানসুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, যখন নাকি তিনি এই ”মাটির পরশে” বসে মানুষের সুখ-দু:খের কথা শুনতেন এবং কিছু পরামর্শ দিতেন তখন নাকি ভূমি কমিশনারের মুখেপক্ষ পাতিত্বে কোন ছায়া পড়তো না। আকর্ষিকভাবে তেনাকে না পেয়ে এসব সাধারণ মানুষ এখন শুধু বলছে, বড় ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। এরকম মানুষ হয় না। তিনি সত্যিই মাটির মানুষ বলেও অভিহিত করছেন অনেকেই। সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মিল্টন চন্দ্র রায় তার অফিসিয়াল ফেসবুকে বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে প্রায় ১ বছর ৬ মাস সহকারী কমিশনার (ভূমি), ডিমলা উপজেলা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছি। এবং আজ ২৯ জানুয়ারি/১৭ তারিখ পর্যন্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলাম। আজ আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি দিনে স্বরণ করছি নীলফামারী জেলার সুযোগ্য ও আমার পরম শ্রদ্ধেয় জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ জাকীর হোসেন স্যারকে। এবং অসংখ্য ধন্যবাদ আমার বিদায় মুহুর্তটাকে স্বরণীয় করার জন্য। স্যারের মূল্যবান পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা আমার চাকুরী জীবনের পথ চলার পাথেয় হয়ে থাকবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্যার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) স্যার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের আন্তরক পরামর্শ ও সহযোগিতা আমার কাছে চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবে। সুফল চন্দ্র গোলদার (এনডিসি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন সরকার,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাইমেনা শারমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাবেরিসহ আমার প্রিয় অনুজদের কথা আজীবন মনে থাকবে। সেই সাথে আমার এই দেড় বছরের সাথী প্রিয় ডিমলাবাসীদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই তাদের সার্বক্ষণিক পাশে থাকা ও সহযোগিতার জন্য। জানিনা কতটুকু তাদেরকে দিতে পেরেছি। যদি কিছু দিতে পারি সেটা আপনাদের অধিকার বলে জানবেন আর যেটা দিতে পারি নাই সেটা আমার ব্যর্থতা বলে ক্ষমা করে দিবেন এই অনুরোধ করবো। আমার পরবর্তী গন্তব্য অস্ট্রেলিয়ার মেলব্রোনের মোনাস ইউনিভার্সিটি। আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। তার এই উচ্চ গবেষনামূলক ডিগ্রী অর্জনের জন্য তার গন্তব্যস্থলে যেন সুস্থ্যভাবে পৌছে ডিগ্রী নিয়ে আবারও দেশে ফিলে দেশ ও জাতীর কল্যাণে কাজ করতে পারের এই দোয়া করছে ডিমলাবাসী। সেই সাথে ডিমলা উপজেলার শুশীল সমাজ, বিশিষ্টজন, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিকবৃন্দসহ সকল স্তরের মানুষ তার চলার পথ আরো সহজ সুন্দর হোউক এই কামনায় করছে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে।
মন্তব্য চালু নেই