জিয়া খানের আত্মহত্যার আগে সুরজ তাঁকে পাঠান এই ১০টি মারাত্মক মেসেজ
অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যা করেন ৩ জুন, ২০১৩-এ। মৃত্যুর পরে জিয়ার লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায় যেখানে তিনি অভিনেতা তথা বন্ধু সুরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতির দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। সুরজ অভিনেতা-দম্পতি আদিত্য পাঞ্চোলি ও জারিনা ওয়াহাবের সন্তান। জিয়ার মৃত্যুর পরে তাঁর মোবাইল ঘেঁটে জিয়ার মা সুরজের পাঠানো বেশ কয়েকটি মেসেজ পান। মেসেজগুলো করা হয়েছিল জিয়ার আত্মহত্যার কিছু আগে। মেসেজগুলো বেশ অস্বস্তিকর। সামান্য সম্পাদনা করে পাঠানোর সময়সহ সেই ১০টি
মেসেজ তুলে দেওয়া হল পাঠক-পাঠিকাদের জন্য—
১. রাত ১০টা ৫৬: যদি কথা বলতে চাও, তা হলে ফোন করো।
২. রাত ১০টা ৫৬: তুমি চলে যাও।
৩. রাত ১০টা ৫৭: আমার জীবনকে তুমি জেলখানা করে তুলেছ। আমি কেবল ক… (কোনও বান্ধবীর নাম)-এর সঙ্গে খেতে যেতে চেয়েছিলাম, ন…(জিয়া ও সুরজের কমন বান্ধবীর নাম)-এর সঙ্গে দেখা করে ওকে তোমার নতুন অর্ডারটা দিতে চেয়েছিলাম। ইউ ফা** ক্রিপ, তুমি আমার বিশ্বস্ততা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছ! আমরা এক সঙ্গে চলব কী করে ইফ ইউ ডু দিস শি*। আমি সব সময়ে তোমাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করি। দয়া করে আমাকে একা ছেড়ে দাও।
৪. রাত ১০টা ৫৭: ইউ ফা** ইট আপ ফর ইউ।
৫. রাত ১০টা ৫৮: আমি ভীষণ অসুখী।
৬. রাত ১১টা ০৩: তুমি ভাবছ, আমি তোমার সাফল্য দেখে ঈর্ষান্বিত! হা হা হা হা! তুমি অত্যন্ত অকৃতজ্ঞ।
৭. রাত ১১টা ০৩: ন…-এর সঙ্গে কথা বলো এবং নিজেই জেনে নাও ঠিক কী ঘটেছে। আমি বৃহস্পতিবার তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। থ্যাঙ্কস ফর ফা** ইট আপ। সবটুকু সত্যি জানার পরেই আমার সঙ্গে কথা বলবে। তার আগে আমার সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে স্বপ্নেও ভেবো না। তুমি আমার উপর নজর রাখলে কী ভাবে! ন…-এর সঙ্গে! দিস ইজ ফা** আপ!
৮. রাত ১১টা ০৮: যত দ্রুত সম্ভব আমাকে ফোন করো। ইটস আর্জেন্ট।
৯. রাত ১১টা ২১: আমাকে এক্ষুণি ফোন করো।
১০. রাত ১১টা ২১: যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই।
মন্তব্য চালু নেই