মাঘের শুরুতে আসছে শৈত্যপ্রবাহ
পৌষ মাস শেষ পর্যায়ে, তবুও পুরোপুরি শীতের দেখা নেই। তবে রাজধানীতে তেমন শীত না থাকলেও উত্তরের জনপদে দুই দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার কারণে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পৌষের শেষে রাজধানীর মানুষও শৈত্যপ্রবাহের দেখা পাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কর্মকর্তা সুকুমার ভৌমিক জানান, আগামী ১২ জানুয়ারির পর রাজধানীতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে।
সৌমিক ভৌমিক বলেন, ‘চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে শৈত্যপ্রবাহের সাথে তাপমাত্রাও কমবে। শেষ রাতে উত্তরাঞ্চল এবং নদীর অববাহিকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমে যাবে। অন্যান্য জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ছয়-সাতের মধ্যে উঠানামা করবে।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে শীতের তেমন দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের বেলা রোদ থাকায় বেশ গরম অনুভূত হয়। পৌষের রাতেও হালকা শীত অনুভব করেন নগরবাসী। তবে গতকাল থেকে বাতাস বইতে থাকায় কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষেরা হালকা এই শীতেই কষ্ট পোহাচ্ছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি বিরাজ করছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আজ যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটবিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে এর ফলে সেখানে শীতের প্রকোপ কিছু বেড়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য চালু নেই