‘ভোট যখন দিলি না, টাকা ফেরত দে’

গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে দাঁড়িয়েছিলেন ‘নদী বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ সমন্বয়ক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাদিকুল ইসলাম দুলাল। তার নির্বাচনী এলাকার ৬৭টি ভোটের মধ্যে তিনি মাত্র ১০ ভোট পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আন্দোলন-সংগ্রামের মানুষ। কিন্তু এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে যখন দাঁড়ালাম তখন ভোটাররা আমাকে বলল জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা সম্মানী দিতে। আমি ৩৫ জন ভোটারকে ১০ হাজার টাকা করে মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছি। এটি কিন্তু ভোট কেনার জন্য নয়, সম্মানী হিসেবে দিয়েছি। কিন্তু আমি ভোট পেলাম ১০টি। যারা আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছিল তাদের মধ্যে ২২ জন আমাকে বলেছে, তারা মসজিদে গিয়ে বলতে পারে যে আমাকেই ভোট দিয়েছে। কিন্তু এটি কিভাবে সম্ভব! আমি ভোট পেয়েছি ১০টি, আর মসজিদে গিয়ে আল্লাহর নামে শপথ নিয়ে ২২ জন ভোটার বলতে চায় তারা আমাকে ভোট দিয়েছে!

শুধু গাইবান্ধায় নয়, সারা দেশেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেনাবেচা হয়েছে অবাধে। এক ভোট বিক্রি হয়েছে একাধিকবারও। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী যে প্রার্থী বেশি টাকা দিতে পেরেছেন, ভোট পড়েছে তারই পক্ষে। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের ভোট ৭০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ইউপি সদস্যদের ভোট বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায়। টাকা দিয়েও যারা ভোট পাননি তারা এখন ভোটারদের পেছনে ছুটছেন অর্থ ফেরত নিতে। এ নিয়ে বিভিন্ন জেলায় হুমকি-ধমকি, এমনকি লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটছে।

জানা গেছে, গাইবান্ধায় জামায়াতে ইসলামীর আলতাফ হোসেন ২১ ভোট পেয়ে সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন। ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি ২১ ভোট পেয়েছেন। তবে আবদুর রশিদ মাস্টার ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করেও জয়ী হতে পারেননি, পেয়েছেন ১৫ ভোট। জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজা সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে তৃতীয় হয়েছেন। আর ভোট কম পাওয়ার জন্য তিনি দায়ী করেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও দহবন্ধ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলকে। রেজার অভিযোগ, মুকুল বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েও তাকে ভোট দেননি। এ কারণে গত পরশু দিন ভোটের ফল বেরোনোর পরই গোলাম কবির মুকুলকে লাঞ্ছিত করেছে রেজাউল করিমের অনুসারীরা।

গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী সাদিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, এ জেলায় ইউপি মেম্বারদের ভোট ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। চেয়ারম্যানদের ভোট বিক্রি হয়েছে আরো বেশি টাকায়।

পঞ্চগড় জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা ছাড়া একটি ভোটও পড়েনি। আবার বেশি টাকার লোভে এক ভোট একাধিকবার বিক্রি হয়েছে। এ জেলার বোদা উপজেলার নাশের মণ্ডলহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সদস্য পদে আওয়ামী লীগের এক প্রার্থী কোনো ভোট পাননি। তিন ইউনিয়নে ওই প্রার্থী প্রায় তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন ভোটারদের। সদর উপজেলার রজলী খালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একই দলের আরেক প্রার্থীর ফলও একই। তিনিও প্রায় সমপরিমাণ টাকা ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করেছেন।

সদর উপজেলার চাকলাহাট, হাড়িভাসা ও কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সাধারণ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক দাবি করেন, ভোটারদের সন্তুষ্ট রাখতে তিনি ৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ২৫ জনকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র একটি। তার অভিযোগ, ধনাঢ্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কয়েক গুণ বেশি টাকা দেওয়ায় ভোটাররা ওই প্রার্থীকেই ভোট দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে কুদ্দুস প্রামাণিকের সমর্থকরা চাকলাহাটের ভোটার ইউপি সদস্য জমিরউদ্দিন দুলার কাছ থেকে টাকা ফেরত নিয়ে তাকে দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য জমিরউদ্দিন দুলা বলেন, ‘ভোটের আগের দিন আমাকে জোর করে কুদ্দুস ভাই টাকা দেন। কিন্তু আমি তাকে ভোট দিইনি। এ জন্য টাকা ফেরত দিয়েছি। ’

আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থক সফিয়ার রহমান বলেন, বেশ কিছু ভোটার এরই মধ্যে টাকা ফেরত দিয়েছে। অনেকে সময় নিয়েছে। টাকা ফেরত পেতে নানা প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

জেলা যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল বলেন, একই মহল্লাবাসী হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলদার রহমান দিলু ভোটারদের দেওয়া টাকা ফেরত পেতে তার সহযোগিতা চেয়েছেন। এ জন্য পরাজিত কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে তিনি জোট বাধারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

পঞ্চগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, ভোটের যে চিত্র প্রকাশ হয়েছে তাতে জনপ্রতিনিধিদের মানসম্মান বলে আর কিছু থাকল না। এ জন্য প্রার্থীরাও দায়ী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে পরাজিত প্রার্থীর অনুসারীরা কয়েকজন ভোটারকে মারধর করেছে। টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সানন্দবাড়ি বাজারে চরআমখাওয়া ইউপির ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মান্নান, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য সাহার আলী এবং ২ নং ওয়ার্ড সদস্য আমিনুলকে মারধর করা হয়।

জামালপুর জেলা পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচনে হেরে গেছেন চরআমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদ মণ্ডল। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি তিন ভোটারকে মারধর করেন। তিনি বলেন, ‘তারা তিনজন আমার কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার নিয়েছে। কিন্তু ভোট দেয়নি আমাকে। টাকা ফেরত চাইলে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ’

অন্যদিকে ভোট শেষ হওয়ার দিনই রৌমারীর কর্তিমারী বাজারে আবু শামা নামের এক ভোটারকে আটকে তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করেন পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মালেক। ওই প্রার্থী বলেন, ‘ভোট দেবে না ঠিক আছে, কিন্তু ভোট দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে যারা টাকা নিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবেই। আমি তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছি। ’

কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্যপদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মাহমুদা আক্তার স্মৃতি। তিনি বলেন, ‘প্রতি ইউনিয়নে ভোটারদের ৬০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। ভোটাররা টাকা নিয়ে বেইমানি করেছে আমার সঙ্গে। এখন আমি তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেব। ’

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনেও টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কোনো কোনো প্রার্থী কোরআন শরিফ হাতে ধরিয়ে শপথ করিয়ে অর্থ দিয়েছেন। এর পরও ভোট না দেওয়ার অভিযোগ এসেছে এ জেলার পরাজিত প্রার্থীদের কাছ থেকে।

জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন কাজী মঞ্জুরুল হক। এ জেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন তাঁর চাচা হওয়ার সুবাদে নির্বাচনের আগে কয়েক দফা বৈঠকে সব পুরুষ ও মহিলা মেম্বার কাজী মঞ্জুরুল হককে সমর্থন দেন। ভোট নিশ্চিত করতে শপথও পড়ানো হয়। ৪১ ভোটের ওই এলাকায় সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন ছয়জন।

নির্বাচনের আগের দিন সবাইকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে কোরআন ছুঁয়ে শপথ পড়ানোর সময় ১৩ জন ভোটারকে ৩৫ হাজার টাকা করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন। ১৩ ভোটে জয় নিয়ে সংশয় থাকায় ৯ লাখ টাকায় কেনা হয় ৯টি ভোট। কাজী মঞ্জুরুল হক ২২ জন ভোটারের কাছ থেকে ভোট কিনে ভোট পান ১২টি। কে কে মঞ্জুরুল হককে ভোট দেননি তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে আসে যে নিজেদের পরিষদের পাঁচ ভোটার বেশি টাকার বিনিময়ে শপথ ভঙ্গ করে অন্য প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। মঞ্জুরুল হকের পক্ষের একজন জানান, বিজয়ী প্রার্থী প্রবীর কুণ্ডুর কাছ থেকে লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

নড়াইল সদরের বাশগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ টাকা হাতিয়ে নিতে পেরেছেন বলে জানা গেছে। জেলা পরিষদের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চার প্রার্থী, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের তিন প্রার্থী এবং একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কাছ থেকে তিনি মেম্বারদের ভোট আদায়ের জন্য টাকা নিয়েছেন। মো. ওবায়দুর রহমানের কাছ থেকে ১৭ লাখ, মাহাবুবুর রহমানের কাছ থেকে দুই লাখ, মাহাবুবা মেরীর কাছ থেকে তিন লাখ এবং রওশন আরা বেগমের কাছ থেকে সিরাজুলের লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ওবায়দুর বিজয়ী হলেও বাশগ্রাম ইউপি থেকে আশানুরূপ ভোট না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা ফেরত চেয়েছেন। জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবসহ অন্যরা টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য সিরাজুল চেয়ারম্যানকে দুই দিন ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মাহাবুবা সুলতানা মেরীর স্বামী রওশন আলী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ভাই, এসব বেইমানের কথা ফোনে বলা যাবে না, আপনার সাথে সাক্ষাতে সব বলব। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই নির্বাচনের আগের রাতে ব্যাপক হারে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। ’

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে শহীদুজ্জামান সেলিম পেয়েছেন ১১ ভোট। এই ১১ ভোট পেতে তিনি খরচ করেছেন ১৫ লাখ টাকা। সদস্য পদে আরেক পরাজিত প্রার্থী মোর্তুজা আলী পেয়েছেন তিন ভোট। তিন ভোট পেতে তাঁর খরচ হয় তিন লাখ টাকা। আর পরাজিত প্রার্থী নুর আলম ১৫ লাখ টাকা খরচ করে পেয়েছেন ১৭ ভোট। ওই পরাজিত প্রার্থীরা যাদের টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চাইছেন।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের কাজিরবেড় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী নূর আলমের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। এই চেয়ারম্যান নুর আলমকে কথা দিয়েছিলেন, তাঁর ইউনিয়নের মেম্বারদের ম্যানেজ করবেন, যেন তারা তাকে ভোট দেন। কিন্তু নুর আলম কাঙ্ক্ষিত ভোট না পেয়ে এখন সেলিম রেজাকে দুষছেন।

তবে এ জেলায় সব প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন নেপা ইউপির চেয়ারম্যান শামসুল আলম মৃধা। তিনি সব প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র মতে, শামসুল আলম সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী শহীদুজ্জামানের কাছ থেকে এক লাখ টাকা এবং নূর আলমের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন তাঁর ইউনিয়নের মেম্বারদের ভোট ম্যানেজ করার জন্য।

লালমনিরহাটে সদস্য পদে নির্বাচন করে লটারিতে হেরেছেন (২০টি করে সমানসংখ্যক ভোট পড়ায়) কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক। তিনি ভোটারদের সম্মানী হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু বিন আল কতুবু ভোটারপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ায় অপরিচিত মুখ হয়েও ২০ ভোট পান। অন্যদিকে উপজেলা যুবলীগ নেতা পরিচিত মুখ হয়েও ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ায় কুতুবের সমান ভোট পান। শেষে লটারিতে কুতুবের কাছে হেরে যান।

দলের চেয়ে টাকা বড় : নড়াইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপলকে ভোট দেননি বিএনপির নেতাকর্মীরাই। কারণ তিনি কোনো ভোটই পাননি। অথচ ওই ওয়ার্ডে বিএনপির ভোট ছিল ১৮টি। এই ১৮ ভোটার বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতেও রয়েছেন। এর মধ্যে জাফর শেখ চণ্ডীবরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, সিরাজুল ইসলাম সিরু বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের মাহফুজুর রহমান, জাফরান, রুনু মোল্যা, মোস্তফা কামাল, আজীবুর রহমান বিএনপির কর্মী।

মাইজপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হুদা টগর, যুবদল নেতা গোবিন্দ বিশ্বাস, বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি আ. সবুর ভূইয়া এলাকায় পরিচিত নেতা। এ ছাড়া ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেন, হাফিজার মোল্যা, সংক্ষিত নারী কাউন্সিলর আনজিরা ও লাভলী বিএনপি নেতা। হবখালী ইউনিয়নের মেম্বার শাহিদ মোল্যা, মুসা মোল্যা, লিটু, খোদেজান, সাহেদ শেখ বিএনপির সদস্য হয়েও দলীয় নেতা জাপলকে ভোট দেননি।

এ বিষয়ে মাহাবুব মোর্শেদ জাপল বলেন, ‘ভাই, আমি নির্বাচনে নেমেছিলাম কেবল টাকা ছাড়া ভোট হয় কি না এটা দেখার জন্য। আমি টাকা দেব না—এই ঘোষণা দিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। টাকা দিইনি, এ কারণে ভোট পাইনি। ’ কালেরকণ্ঠ



মন্তব্য চালু নেই