শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ
দেশের ৬০ জেলায় প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৯টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
এখনো কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খোঁজ পাওয়া না গেলেও সকাল থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক বিভিন্ন পদে ভোট স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এসব পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন বলে জানা গেছে।
মূলত প্রতি জেলায় চেয়ারম্যান একজন, ১৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। ৬৩ হাজারেরও বেশি ভোটারের এ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ৯১৫টি কেন্দ্র রয়েছে।
জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ফেনীতে সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ায় মোট ৬০ জেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।
এছাড়া ২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন একক প্রার্থীরা। বাকি ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ১২৪ জন।
এদিকে, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অংশ না নেয়ায় এই নির্বাচনে মূলত লড়াই হচ্ছে শাসক দল আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যেই।
নির্বাচনে জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের ৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৩ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদে। দেশের প্রায় ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬৩ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।
একইভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। ৩২০টি পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন যারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় দলের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। তাদের মেয়াদপূর্তিতে এবারই প্রথম জেলা পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই