৬০ হাজার কোটি টাকায় ঢাকা-পায়রা বন্দর রেললাইন
ষাট হাজার কোটি টাকায় ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ২৪০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে যুক্তরাজ্যের ডিপি রেলের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানটি নকশা প্রণয়ন, অর্থায়ন, লাইন নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। এ কাজে সহযোগিতা করবে চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন।
মঙ্গলবার রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কাজী মো. রফিকুল আলম এবং ডিপি রেল লিমিটেড ইউকের পক্ষে এর প্রধান নির্বাহী ইয়ান এস ডার্বিশায়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং সফররত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সাল নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এই রেলপথের মাধ্যমে বছরে প্রায় ২০ লাখ ইউনিট কনটেইনার পরিবহন সম্ভব হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, “দক্ষিণ অঞ্চলের জন্য এ রেলাইনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগ প্রথমবারের মত রেল সংযোগের আওতায় আসবে।
“গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে এই লাইনটি দেশের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”
এটিকে রেল খাতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি রুশনারা আলী বলেন, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুদেশের একই লক্ষ্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই আমাদের পারস্পরিক স্বার্থ এক ও অভিন্ন। এ দেশের উন্নয়ন অভাবনীয়।”
ব্রিটিশ হাই কমিশনার এলিসন ব্লেইক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন ও ডিপি রেল লিমিটেডের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে রামনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে সাত হাজার একরের বেশি ভূমি জুড়ে নির্মিত হচ্ছে পায়রা বন্দর। ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রার উদ্বোধন করেন। তবে জাহাজ ভেড়ার অবকাঠামো নির্মিত হয়ে যাওয়ায় আগেই ভিড়তে শুরু করেছে জাহাজ।
বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণ,তীর রক্ষা বাঁধ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে কয়েকদিন আগে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ সরকার।
মন্তব্য চালু নেই