উত্তরাঞ্চল জুড়ে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত
পৌষ আসতে আর বাকি কয়েক দিন। এরইমধ্যে রাজশাহীসহ পুরো উত্তরাঞ্চল জুড়ে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। তাপমাত্রার পারদও নামছে তর তর করে। রোববার সারাদেশের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি। চলতি শীত মওসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
অন্যদিকে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত বাতাসের কারণেই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে ও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গেলো এক সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। সেই সাথে তাপমাত্রাও ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। শনিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি। হঠাৎ করে রোববার তা নেমে এসেছে দশের কোঠায়। ফলে শীতের কামড়ে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, শীতের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন। আবার কেউ গরম কাপড় পরে বেরিয়ে পড়ছেন দিনের কাজে। তবে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের আয় উপার্জন কমে যাওয়ায় শীতে কষ্ট বেড়েছে তাদের।
গত কয়েকদিন ভোরের সূর্যোদয় হয় ঘন কুয়াশার বুক চিরে। সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারদিক। এতে করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে যানবাহন চালাতে হচ্ছে চালকদের। বেশ আগ থেকেই হিমালয় ছোঁয়া হিমেল বাতাসের কারণে উত্তরাঞ্চল জুড়ে শীত পড়া শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের মাত্রাও। বিশেষ করে রাত ১০টার পর থেকে বাতাসের গতিবেগ বাড়ে এবং তা অব্যাহত সকাল ১১টা পর্যন্ত। কোনো কোনো দিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের মুখও দেখা যাচ্ছেনা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বইতে পারে। শীতের তীব্রতা রাজশাহীতে পরিলক্ষিত হয় জানুয়ারির দিকে। এবার বেশ আগ থেকেই শুরু হয়েছে উত্তরের ঠাণ্ডা বায়ু। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বাদে বাকি সময় হিমেল হাওয়া বইছে।’
মন্তব্য চালু নেই