জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ নয়

জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার দুপুরে রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে জেলা পরিষদ নির্বাচন আইনের তিনটি ধারা (৪-এর ২, ১৭ ও সংশোধিত ২০১৬ সালের ৫) কেন বাতিল করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

এই রিটের সঙ্গে হাইকোর্ট ২০০০ সালে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট নূরে আলম উজ্জ্বলের একটি রিটও সংযুক্ত করেছেন। ফলে দুটি রিটের একসঙ্গে শুনানি হবে।

পরে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেছেন, যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, তাই নির্বাচন না করাটাই যুক্তিযুক্ত। তবে নির্বাচন স্থগিত করে কোনো আদেশ দেননি আদালত, কেবল রুল জারি করেছেন।

তিনি বলেন, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে পরোক্ষ ভোটে। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।



মন্তব্য চালু নেই