রেলের ভুতুড়ে গেটম্যান, খড়্গপুরে রহস্যভেদ করলেন রেলের সেকশন ইঞ্জিনিয়ার
ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে রেলের গেটম্যান হিসাবে কাজ করছিল অরূপ ধল। ইতিমধ্যে দেড়মাস কাজও করা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। রেলের সেকশন ইঞ্জিনিয়ার পশ্চিম মেদিনীপুরের বলরামপুর রেল লাইনের গেট দিয়ে যাওয়ার সময়ে অরূপকে গেটম্যান হিসাবে কাজ করতে দেখেন। অরূপের সঙ্গে আরও একজন গেটম্যান সেখানে কাজ করছিলেন। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী গেটম্যান হিসাবে ১ জনেরই কাজ করার কথা সেখানে। কৌতূহলবশতই ওই সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অরূপ এবং তাঁর সহকারী অন্য গেটম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
অরূপ এবং তাঁর সহকারীর পরিচয়পত্র দেখতে চান সেকশন ইঞ্জিনিয়ার। অরূপের পরিচয়পত্র যে জাল, তা বুঝতে পারেন সেকশন ইঞ্জিনিয়ার। অরূপকে নিয়ে আসেন খড়্গপুর রেল দফতরে। সেখানে একপ্রস্থ জেরায় অরূপ যা বলেন, তাতে চোখ কপালে উঠে যায় রেল কর্তাদের। অরূপ জানান, তিনি দেড় মাস ধরে গেটম্যান হিসাবে শুধু কাজ করছেন তা নয়, মাইনে হিসাবে ৭ হাজার টাকাও তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
শালবনি থানার বড়কেঁউদি এলাকার বাসিন্দা বছর কুড়ির অরূপকে কাজে ঢোকাল কে? জেরায় এর উত্তরও দিয়েছে সে। নিয়োগের সময়ে তাঁকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে আদ্রা থেকে খড়্গপুরের মধ্যে যে কোনও স্থানেই নাকি কাজ করতে হবে। আপাতত প্রশিক্ষণ চলবে। পরে রেলের স্থায়ী কর্মী হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করারও নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নিয়োগকর্তারা। কিন্তু, কারা অরূপ ধলের নিয়োগ কর্তা? তা এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে খড়্গপুর রেল দফতর। চাকরি পেতে অরূপ এই চক্রকে কত অর্থ দিয়েছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে। ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে কাজের জন্য অরূপকে গ্রেফতারও করেছে রেল পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই