রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার আগে মূল হোতা তামিম আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের অনুমতি নিয়েছিল কিনা- সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি সদর দফতরে শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠান শেষে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সে প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য দেন তিনি।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আইএস-এর অনুমোদন নিয়ে যা বলা হয়েছে, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই।’

এ সময় অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির পলাতক নেতা মারজান, বাশার, রাজিবসহ অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘হলি আর্টিসান হামলার পর থেকে আমাদের পুলিশের সক্ষমতা বেড়েছে অনেকাংশে। যে কোনো ধরনের হামলা মোকাবেলায় পুলিশ এখন সক্ষম।’

বিনিয়োগে যাতে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘নিরাপত্তা বাড়লেই দেশের বিনিয়োগ বাড়বে। আর বিনিয়োগ বাড়লে দেশ এগিয়ে যাবে। দেশে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি হলে দেশের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।’

দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশকে জনবান্ধব ও নারীবান্ধব করে গড়ে তোলার বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হত্যাযজ্ঞের আগে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের অনুমোদন নিয়েছিলেন হামলার মূল হোতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরী।

বিদেশি নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত তামিম চৌধুরী জঙ্গিগোষ্ঠীটির সদস্য আবু তারেক মোহাম্মদ তাজউদ্দিন কাউসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।

হামলার আগে এ দুই জঙ্গি সদস্যের মাঝে যোগাযোগের তথ্য বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন বলে দাবি করে রয়টার্স।