‘মৃত মানুষের’ কিডনি লাগবে সুষমা স্বরাজের শরীরে, বিনিময়ে মৃতকে জীবিত করতে হবে!
যাকে বলে অদ্ভুতুড়ে কাহিনি। বারাণসীর এক গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ মুরাত সিংহ। একটা সময় অভিনেতা নানা পাটকরের বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। কিন্তু, যেদিন থেকে শুনেছেন অসুস্থ বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ-এর জন্য কিডনিদাতা চাই, সেদিন থেকে উঠে পড়ে লেগেছেন সন্তোষ।
চাইছেন সুষমা স্বরাজকে তার কিডনি দান করতে। কিন্তু, এর বিনিময়ে একটি শর্ত রেখেছেন সন্তোষ। আর সেই শর্ত হল তাঁকে জীবিত করতে হবে। সন্তোষের এমন দাবি শুনে সকলেই হা হয়ে গিয়েছেন। এ কেমন ব্যাপার? একটা জীবিত মানুষকে আবার কীভাবে জীবিত করা সম্ভব? বলতে গেলে সন্তোষের দাবি শোনার পর থেকে মাথার চুল খাড়া হয়ে গিয়েছে সুষমার পরিবার-পরিজনের।
কেন এমন দাবি রাখলেন সন্তোষ? আসলে ২০০৩ সালে সন্তোষ বারাণসী ছেড়ে মুম্বাইয়ে এসে নানা পাটকরের বাড়িতে কাজ নেন। সে সময় সন্তোষ মুম্বাইয়ে এক দলিত যুবতীর প্রেমে পড়েন এবং তাকেই বিয়ে করেন। গোত্র এবং বর্ণে সন্তোষ উত্তরপ্রদেশের উচ্চ বংশজাত। তার পরিবারের লোক এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। এর জন্য সন্তোষকে তাঁর পরিবার মৃত বলে ঘোষণা করে।
এখানেই শেষ নয়, পারিবারিক সমস্ত দস্তাবেজেও সন্তোষকে মৃত বলে ঘোষণা করে ডিক্লারেশন দেওয়া হয়। সেই থেকে জীবিত হয়েও এক মৃত মানুষের জীবন কাটাচ্ছেন সন্তোষ। এই নিয়ে তার দুঃখের শেষ নেই। তিনি শুনেছেন, সুষমা স্বরাজ খুবই দয়ালু মানুষ। তাই সন্তোষ মনে করছেন সুষমার সঙ্কটে তার পাশে তিনি যদি দাঁড়ান তাহলে হয়তো তাকে আর মৃত মানুষের জীবন কাটাতে হবে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর জন্য তিনি ফের জীবিত হয়ে উঠতে পারবেন। বলতে গেলে সন্তোষ আপাতত অপেক্ষা করছেন সুষমার সঞ্জীবনি উদ্যোগের জন্য। যা তাকে মৃত থেকে ফের জীবিতদের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই