বাংলাদেশের তসলিমা ভারতে পিঙ্কি
ভোটার আইডি কার্ডে বারাসতের ঠিকানা। রেশন কার্ডে মহারাষ্ট্রের। পাসপোর্ট বাংলাদেশের। দুইটি কার্ডেই তার নাম রয়েছে পিঙ্কি গাজি। অথচ পাসপোর্টে নাম তসলিমা। বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলার মনিরামপুরে। অন্য দুই নারীর নাম সাহানা বিবি ও উর্মি বিবি। তাদেরও বাড়ি ওই একই গ্রামেই। তবে তাদের কোনও পরিচয়পত্র নেই। তাদের কাছে পাওয়া গেছে মুম্বাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
বর্ধমান স্টেশনে সন্দেহজনক আচরণের কারণে এই তিন নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সঙ্গে গ্রেফতার হন দুজন পুরুষও। সম্পর্কে তারা পিতা-পুত্র। তসলিমা ২৬ নভেম্বর এ রাজ্যে আসেন। তবে বাকি দুই নারী কবে এসেছেন, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ।
বর্ধমানে ওরা ধরা পড়ে রোববার রাতে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে জাল নথিপত্র রাখা, নানা পরিচয়ে বসবাস ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে। সোমবার দুপুরে বর্ধমান থানায় গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এনআইএ-র দুই অফিসারও।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, এরা নারী পাচার চক্রে জড়িত। তবে খাগড়াগড় কান্ডের সঙ্গে তাদের কোনও যোগসূত্র মিলেছে কি না সে ব্যাপারে কিছু জানাতে চাননি পুলিশ কর্তারা।
বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, মাস তিনেক আগে ঝাড়খন্ডের গিরিডির কোরিয়াডিহি গ্রাম থেকে এসে বর্ধমান শহরের সিংহদরজায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন বংশীধর সাউ ও তার ছেলে সারদা সাউ। সম্প্রতি তসলিমা সেই বাড়িতে ওঠেন। রবিবার গভীর রাতে পুলিশ খবর পায়, সিংহদরজা এলাকা থেকে পাঁচ জন স্টেশনের দিকে রওনা হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন জন নারী রয়েছে। এর পরেই পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাদের ধরে ফেলে।
পুলিশ সুপারের দাবি, ‘সম্ভবত ওই নারীদের দেহ ব্যবসায় নামানোর উদ্দেশ্য ছিল ধৃত পিতা-পুত্রের।’ সোমবার বর্ধমান আদালত তাদেরকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
মন্তব্য চালু নেই