খতিয়ানে চিনিকলের জমির মালিক সাঁওতালরাই
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমির মালিক সাঁওতাল এবং স্থানীয় দরিদ্র মানুষের বাপ-দাদারা।
খতিয়ান অনুযায়ী, জমির মালিকানায় নাম রয়েছে সাঁওতালদের বাপ-দাদাদের।
‘গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ওপর অমানবিক নির্যাতনে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা ও নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান ‘সচেতন নাগরিকবৃন্দ’।
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) শনিবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।
এতে সচেতন নাগরিকবৃন্দের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত, বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে ৩ সাঁওতাল নিহত হন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ জমির মালিক সরকার দাবি করা হলেও সাঁওতালদের দাবি, এ জমি তাদের পূর্বপুরুষদের।
‘সচেতন নাগরিকবৃন্দ’র লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সরকারের মন্ত্রী, সচিব থেকে শুরু করে অনেকে মিডিয়ার সামনে বলেছেন এই জমি কখনও সাঁওতালদের ছিল না। এটি সম্পূর্ণ অসত্য ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল। আমরা যে কথাটি বলতে চাই, তা হল- এটা সাঁওতাল এবং স্থানীয় দরিদ্র মানুষের বাপ-দাদার জমি। আমরা এই জমির খতিয়ান কপি পেয়েছি।’
এতে বলা হয়, ‘খতিয়ানে দুদু মাঝি, দুর্গা মাঝি, জলপা মাঝি, জেঠা কিস্কু, মঙ্গলা মাঝি, মুংলি, চারো মাঝি, সুকু মাঝি- এই সব অনেক নাম পেয়েছি, যাদের জমি ছিল বাগদা ফার্মের মধ্যে। সাঁওতালরা বলেছেন, সাঁওতাল বাগদা সরেনের নাম অনুসারে এই ফার্ম পরিচিত পায়।’
মন্তব্য চালু নেই