রামপাল প্রকল্প সুন্দরবনের জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবনের জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’ উল্লেখ করে তা বাতিল করে অন্যত্র সরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনসারভ্যাশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন)।
মঙ্গলবার ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে দেয়া এক প্রতিবেদনে সংস্থা দু’টি এ আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থা দু’টি আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে দিতে সরকারকে অনুরোধ করেছে।
এতে ওই অঞ্চলের সম্পদ সংরক্ষণের অবস্থার তথ্য থাকতে হবে। আগামী বছর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪১তম সভায় সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে।
গত মাসে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার জন্য সুপারিশ করে প্রতিবেদন দেয় ইউনেসকো। গত মার্চে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া ইউনেসকোর বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেদনটি দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট বিশিষ্ট সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টটি বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যা সুন্দরবনের জন্য চরম ঝুঁকিস্বরূপ। তাই এ প্রকল্পটি বাতিল করে কোনো উপযোগী স্থানে তা স্থানান্তরের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল বৃদ্ধি পাবে। বাতাসের মাধ্যমে প্রকল্পের কয়লা দূষণ ছড়িয়ে পড়বে। বর্জ্রপানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, দূষিত ছাইয়ের পরিমাণ বাড়বে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান শিল্পকারখানা এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগত নির্মাণের প্রভাবও পড়বে ওই এলাকায়।
জবাবে ৯ অক্টোবর সরকার লিখিতভাবে ইউনেসকোকে বলেছিল, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। এরপর প্রকল্পটি বাতিলের কথা আবারও বলা হল।
মন্তব্য চালু নেই