সিডিউল বিপর্যয় : হাজিদের দুর্ভোগ চরমে
বিমানের অব্যবস্থাপনার কারণে এ বছরও দেশে ফিরতে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজিরা। জেদ্দার লাগেজ বিড়ম্বনা এবং সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হাজিদের দুর্ভোগ এখন চরমে। গত শুক্রবার পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি বিমানের ফিরতি হজ ফ্লাইট সিডিউল। ঘাটে ঘাটে বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির স্বীকার হাজিরা। লাগেজ ও মালপত্র হাতে পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে বয়োজ্যেষ্ঠ হাজিদের অনেকেই দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তি শেষে লাগেজ ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন।খবর জাগো নিউজের।
রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৬০৩০ ফ্লাইটে শাহজালালে অবতরণ করেন জয়পুরহাটের মোহাম্মদ শেখ। ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেদ্দায় লাগেজের বিষয়ে বিমানের লোকেরা কোনো সহযোগিতা করেনি। আলফা ট্রেডিং নামে ভারতীয় এক কোম্পানিকে লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছে বিমান। গত বছর ২০ রিয়াল নিলেও এবার ওই কোম্পানি নিয়েছে ৫০ রিয়াল।
মোহাম্মদ শেখের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে হজ মিশন অফিস থেকে অন্তত ১২ কিলোমিটার দূরে আজিজিয়া এলাকায় আমার দুটি লাগেজ আলফা ট্রেডিংয়ের লোকদের বুঝিয়ে দিই। ২৪ ঘণ্টা আগে লাগেজ জমা নেয়ার কথা থাকলেও লাগেজ পৌঁছে দিতে ৩৬ ঘণ্টা আগেই তলব করে। বুকিংয়ে দেয়া লাগেজে কোরআন শরিফ, জায়নামাজ ও তসবিসহ অনেক পবিত্র জিনিসপত্র থাকলেও সেগুলোর প্রতি ন্যূনতম সন্মান না দেখিয়ে যেমন তেমন ভাবে ছুড়ে মারে। এখানে সেবাদানকারী সব সদস্যই কথা বলেন হিন্দিতে। বেশির ভাগ হাজি তাদের ভাষা না বুঝতে পারায় বিড়ম্বনা আরো বাড়ে।
একই ফ্লাইটে আসা গাজীপুরের হাজি আমানুল্লাহ বলেন, মিসফালা হতে লাগেজ জমা দেয়া থেকে ভোগান্তির শুরু; বাংলাদেশে এসেও তার শেষ নেই। বুকিংয়ে দেয়া তার দুটি লাগেজের মধ্যে একটির খোঁজ মেলেনি। ৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিমানের লোকদের কাছে অভিযোগ করা হলে লাগেজটির সন্ধান জানতে আগামী সপ্তাহে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে।
আমানুল্লাহ বলেন, হাজিদের থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করলেও হাজিদের স্বার্থ দেখে না। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ হাজিরা অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে বিমানের জেদ্দার কান্ট্রি ম্যানেজার নূর চৌধুরীর সৌদি আরবের নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে একটি এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি তার জবাব দেননি।
মন্তব্য চালু নেই