স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য নাম চেয়েছে সরকার
২০১৭ সালের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে নাম চেয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সচিবদের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী এবং সচিবদের কাছে নাম চেয়ে এই চিঠি দেন।
এতে আগামী বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য কোন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মনোনয়ন থাকলে তা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী মন্ত্রী ও সচিবরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম পাঠানোর পর প্রাথমিক বাছাই করে একটি তালিকা করা হবে। এরপর পদক কমিটির বৈঠকে এই তালিকা উঠবে। সেখান থেকে তালিকা যাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। তিনি এই তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবেন। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তালিকাটি চূড়ান্ত হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা কোনো বছর ১০ এর বেশি হবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এই সংখ্যা বাড়াতে পারেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, পল্লী উন্নয়ন, সমাজসেবা বা জনসেবা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, জনপ্রশাসন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেয়া যায়। প্রায় প্রতি বছর কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জীবিতদের পাশাপাশি মরণোত্তর পুরস্কার দেয়ার রীতিও আছে।
পুরস্কার হিসেবে মনোনীতদের ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, তিন লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।
জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ প্রথম পদক দেয়া শুরু করেন। ২০০৩ সালে তাকেও স্বাধীনতা পদক দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। সম্প্রতি সরকার তার পদক বাতিলের সুপারিশ করে। এরপর জাতীয় জাদুঘর থেকে পদকটি সরিয়ে নেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে নামের প্রস্তাব পাঠাতে চিঠি দেয়া হয় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে। তা এবারেও দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কারের সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর আগামী মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেবেন।’
মন্তব্য চালু নেই