মদনে দুই নারীকে এসিড নিক্ষেপ

মদন (নেত্রকোণা) সংবাদদাতাঃ নেত্রকোণার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কাইটাইল গ্রামে বুধবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিয়াশা আক্তার (৩৮) ও মনোয়ারা বেগম (৫০) কে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। নিয়াশা আক্তার জানু মিয়ার ও মনোয়ারা বেগম মরহুম মানিক মিয়ার স্ত্রী।

জানা যায়, উপজেলার কাইটাইল গ্রামের জানু মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়ার সাথে মাস তিনেক পূর্বে একই গ্রামের আনছু মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তারের বিয়ের কথা হয়েছিল। কিন্তু মেয়ের বয়স কম হওয়ায় এ বিয়ে হয়নি। এর কিছুদিন পর হৃদয় মিয়ার সাথে একই গ্রামের আলী আকবরের কন্যা সোনিয়া আক্তারের বিয়ের কথা হয়। এ খবর শুনে সুইটি আক্তার ছেলের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। পরে গ্রামের লোকজন পুলিশের সহাতায় তাকে তার বাড়িতে পাঠায়। এরই জের ধরে তাদের মাঝে একধরনের দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। হৃদয় মিয়া সোনিয়া আক্তারকে বিয়ে করলে সুইটির পিতা আনছু মিয়া বাদী হয়ে হৃদয় মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কোর্টে মামলা করে।

গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিয়াশা আক্তারের শয়ন কক্ষে কতিপয় লোকজন জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে নিয়াশা আক্তার ও মনোয়ারা বেগম আহত হলে ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। তবে নিয়াশা আক্তার নজরুল, বাচ্চু মিয়া, আনছু মিয়া, সেকুল মিয়া, ছনু মিয়া ও তাছলিমাকে বিদ্যুতের আলোতে চিনতে পেরেছে বলে জানায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের সাথে কথা বলা যায় নি।

এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ আব্বাস জানান, এসিডে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মদন থানার এস, আই মারুফ জানান, আমি বুধবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছনু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তবে আমার নিকট ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই