গ্রেড পয়েন্টের পাশাপাশি থাকছে প্রাপ্ত নম্বর

এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আজ।

লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই এবারও ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। গ্রেড পয়েন্টের (জিপিএ) পাশাপাশি এবার পরীক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরও জানতে পারবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন। এরপর বেলা ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন মন্ত্রী।

আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে, জিপিএ-৫ পায় ৪২ হাজার ৮৯৪ জন।

৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ : লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই এবারও ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শুরু হয়। ৯ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ইউপি নির্বাচন এবং ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে বারবার পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ২২ জুনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।

জিপিএর সঙ্গে জানা যাবে নম্বরও : এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরও জানতে পারবে। আদালতের নির্দেশে এই সুবিধা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে নয়, বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ফলাফলে জিপিএ, গ্রেড পয়েন্টের পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বরও থাকবে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলে এবার থেকে জিপিএর সঙ্গে নম্বরও প্রকাশ করা হবে। অর্থাৎ গ্রেড পয়েন্টের সঙ্গে প্রাপ্ত নম্বরও থাকবে টেব্যুলেশন শিটে। গ্রেড পয়েন্টের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর যাতে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে এসএসসি ও ২০০৩ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট নম্বরভিত্তিক সনাতন পদ্ধতির ফল প্রকাশ বাতিল করে জিপিএ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুরু হয়। আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের সব বিষয়ের পাওয়া নম্বর যোগ করে মোট নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ নির্ধারিত হতো। কিন্তু জিপিএ পদ্ধতিতে নির্ধারিত সীমার নম্বর অনুযায়ী কয়েকটি গ্রেড করা হয় এবং প্রতি গ্রেডের বিপরীতে রাখা হয় একটি নির্দিষ্ট গ্রেড পয়েন্ট। আর সব বিষয়ে গ্রেড পয়েন্টের গড় করে নির্ধারিত হয় একজন পরীক্ষার্থীর ফল।

‘টেব্যুলেশন শিটে’ বিষয়ের বিপরীতে শুধু গ্রেড পয়েন্ট থাকায় বিষয়ভিত্তিক ও মোট নম্বর কোনোটাই জানার সুযোগ ছিল না কারো। এবার থেকে গ্রেড পয়েন্টের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, গত ১ আগস্ট বোর্ড চেয়ারম্যানস কমিটির সভায় আন্তঃবোর্ড চেয়ারম্যানরা এই সিদ্ধান্ত নেন। ঢাকা বোর্ডের এক শিক্ষার্থী পাবলিক পরীক্ষায় নম্বর জানার অধিকার চেয়ে আদালতে রিট করেছিল। ঢাকা বোর্ড সেই রিটের বিরুদ্ধে আপিল করলেও আদালত ওই পরীক্ষার্থীকে নম্বর দেখাতে বলেছেন। একই সঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী নম্বর জানতে চাইবে তাদের নম্বর জানাতেও বলেছেন আদালত।



মন্তব্য চালু নেই