বার কাউন্সিলের বহুতল ভবন নির্মাণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ১৫তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

রোববার আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই খবর প্রকাশ করেন। পরে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

শ ম রেজাউল করিম জানান, বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের সচিবের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশের সরকারি কপি আজ আমরা হাতে পেয়েছি।

চিঠি পাওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস তিনি। স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু কন্যা, যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা। বার কাউন্সিল ও বেনাভোলেন্ট ফান্ড বঙ্গবন্ধুর হাতে তৈরি। তার কন্যা দিচ্ছে বহুতল ভবন। দেশের ৫০০০০ আইনজীবী গভীরতম কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নির্বাচনে এটা ছিল অন্যতম অঙ্গীকার। একে একে সব-ই পূর্ণ হবে ইনশাল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতি রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ ম রেজাউল করিম বলেন, বার কাউন্সিল ভবন বর্তমানে নাজুক ও ব্যবহার অনুপযোগী। এই ভবনের একতলার উপর কোনো পরিকল্পনা ছিল না। সর্বোচ্চ দোতলা পর্যন্ত করা যেতো। অথচ পাঁচতলা পর্যন্ত করা হয়েছে। যেখানে পঞ্চমতলা করা হয়েছে টিন দিয়ে। পঞ্চমতলায় যারা কাজ করেন গরমের দিনে টিনের তাপে তাদের অসহ্য হয়।

গত বছর সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিলের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থিরা ব্যাপক জয় পায়। সেই নির্বাচনের আগে বহুতলবিশিষ্ট বার কাউন্সিল ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ছিল আওয়ামীপন্থিদের। সেই অনুযায়ীই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভবন নির্মাণের এই চূড়ান্ত অনুমোদন আসলো বলেও জানান শ ম রেজাউল করিম।

ভবন নির্মাণে এখন পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সোমবার (৮ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেয়া হয়েছে। যার একটি কপি আমরা আজ হাতে পেয়েছি। ভবন নির্মাণে অনেক কৌশলগত দিক আগেই প্রস্তুত থাকায় ২/১ মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।

এই ভবনে নির্বাচিত সদস্যদের পৃথক দফতর, খাবার ক্যান্টিন, সেমিনার কক্ষসহ আধুনিক সব ধরনের সুবিধা থাকবে।



মন্তব্য চালু নেই