মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাশেম আলীর ছেলেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পরিবারের
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেমকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করছে তার পরিবার।
এদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীও নিখোঁজ হবার ৬ দিন পরও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানাচ্ছে তার পরিবার।
পুলিশ বলছে, ঐ দুজনের বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
আহমেদ বিন কাশেমের পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী কয়েকজন ব্যক্তি তাকে মিরপুর ডিওএইচএসের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যান।
তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বলেন, এর আগে গত ৪ই অগাস্ট কয়েকজন র্যাব সদস্য এসে তাকে সাথে যেতে বলেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে মি. বিন কাশেমকে না নিয়েই চলে যান।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে যারা এসেছিলেন তাদের পরনে কোন ইউনিফর্ম ছিল না।
এবিষয়ে র্যাবের সাথে যোগাযোগ করা হলে, বিষয়টি নিয়ে তারা কোন মন্তব্য করেনি।
মি. বিন কাশেম পেশায় একজন আইনজীবী এবং তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই বলে জানান তার স্ত্রী।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে তার বাবা মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদণ্ড সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল রাখার পর সেটি এখন পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে গত ৪ই অগাস্ট একটি মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে সাদা পোশাকধারী একদল লোক ধরে নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
মি. চৌধুরী যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে এবং তাকে সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
নিখোঁজের পর ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মা ফারহাত চৌধুরী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিসেস চৌধুরী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা চলছে।
সেই মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়ার পথেই পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিসেস চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলেও সেটি থানা গ্রহণ করেনি।
এদিকে মি. বিন কাশেমের স্ত্রীও বলছেন, বুধবার বিকেল পর্যন্ত থানায় তাদের জিডি গ্রহণ করা হয়নি।
এই দুজনের বিষয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন এই দুজনের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন তথ্য নেই। সূত্র: বিবিসি বাংলা
মন্তব্য চালু নেই