বাংলাদেশ অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তির দোষর তাদের বিচার শুরু হয়েছে এবং তাদের রায়ও কার্যকর করে যাচ্ছি, বাংলাদেশে অভিশাপমুক্ত হচ্ছে।
সোমবার বিকালে ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে আগস্ট মাস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোক সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার শোষিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যে সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা এনেছিলেন। বিজয় মেনে নিতে পারেনি তারা, এতে সমর্থন দিয়েছিলো তাদেরই কিছু দোসররা। তারাই বাংলার মানুষের কাছ থেকে তাকে কেড়ে নিয়েছিলো।
তিনি বলেন, কৃত্রিমভাবে চরিত্র তৈরি করে সত্য চাপা দেওয়া যায় না। আমাদের বিজয়ের ইতিহাস কয়েক প্রজন্ম জানতেই পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ তারা শুনতে পেয়েছে।
‘সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে। এখন মানুষ অনেক সতর্ক। তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। চাইলেই আর মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই।’ বাংলার মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র আর সফল হবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। আমি শুনেছি, বাবা কীভাবে দেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করছি সেভাবে কাজ করতে।
তিনি বলেন, এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জঙ্গিবাদ। এটাও তাদের সৃষ্টি। গোঁড়ায় গেলে দেখা যাবে, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তির উত্তরাধিকাররাই এতে জড়িত। এরাও পরাজিত হবে।
‘বাংলাদেশের মাটিতে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেনো কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই হবে আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা।’
‘এজন্য জনগণের আরও সচেতন হওয়া উচিৎ, তাদের আরও সহযোগিতা দরকার,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য চালু নেই