নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নিজ দলীয় সাংসদদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আড়াই বছর চলে গেছে। হাতে আছে মাত্র দুই বছর। বাকি ছয় মাস যাবে বলতে বলতেই। সেজন্য আপনারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরুন। নতুন করে প্রস্তুত হোন।’
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
দলীয় এমপিদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ইসলামের সঠিক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে জঙ্গিবাদ দমন ও জনসাধারণকে সচেতন করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইসলামকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে এমপিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘নিজ নিজ এলাকায় যান এবং মানুষের মাঝে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ছড়িয়ে দিন। ’
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান বলেন, এক লাখ আলেমের দেয়া যে জঙ্গিবিরোধী ফতোয়া তা অনুসরণ করে জনগণকে সচেতন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এমপিদের দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আপনারা কোনো ধরনের চিন্তা করবেন না। আমরা এর আগেও অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান করেছি। এখনও করব। জঙ্গিবাদ কোনো সঙ্কট না। আমরা এর মোকাবিলা করব।’
হাসিনা আরো বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সারা বিশ্বজুড়েই এখন তা ঘটছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ তা দমন করতে না পারলেও আমরা পারব। কারণ আমাদের দলীয় লোকজন আছে। আছে শক্তিশালী সংগঠন।’
প্রধানমন্ত্রী ইসলামী ফাউন্ডেশনের জঙ্গিবাদ বিরোধী নির্দেশনা ও একলাখ আলেমের ফতোয়া অনুযায়ী জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা চালানোর জন্য এমপিদের নির্দেশ দেন।
বৈঠকে শামীম ওসমান জঙ্গিবাদ বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিহত পুলিশ সদস্যদের নামে স্থাপনা নির্মাণের প্রস্তাব রাখেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। আর গণমাধ্যমগুলো বর্তমান জঙ্গি দমনে যে ধরনের কার্যক্রম ও সরকারি নিদের্শনা মেনে চলছে তাতে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারেক রহমানের সাজা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এমপিদের জানান, এখানে আমাদের করার কিছু ছিল না। এটাই প্রথম মামলা যেখানে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তারেক রহমানকে নিয়ে নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছিল তা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। তার টাকা পাচার প্রমাণিত।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক প্রধান হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, হুইপ আতিকুর রহমান আতিক ও শামীম ওসমান ফজিতুলনেছা ইন্দিরা।
মন্তব্য চালু নেই