প্রি-পেইডে আসছেন ১ কোটি ৩৩ লাখ বিদ্যুৎগ্রাহক
আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে সংসদে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি। তবে লাইফ লাইন গ্রাহক যাদের মাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহার ৫০ কিলোওয়াট আওয়ারের নিচে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় আপাতত প্রি-পেইড মিটারিং কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হয়নি।
সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০২১ সাল নাগাদ সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে। এর অংশ হিসেবে সরকারি খাতে ৭ হাজার ৭৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি এবং বেসরকারি খাতে ৩ হাজার ৬৮১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মোট ১০ হাজার ৭৫৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে আশা করা যায়।
এছাড়া সরকারি খাতে ২ হাজার ১৮৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭টি এবং বেসরকারি খাতে ৩ হাজার ৪৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মোট ৫ হাজার ৬৭৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারি খাতে ৫ হাজার ৬৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। আগামী ২০১৮ সালের জুন নাগাদ ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম চলছে বলেও জানান মুস্তফা কামাল।
মন্তব্য চালু নেই