ভাতিজার অপরাধ ক্ষমা চাইতে গিয়ে প্রহারের স্বীকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শামছুল আলম
মদন (নেত্রকোণা) সংবাদদাতা : ভাতিজার অপরাদ ক্ষমা চাইতে গিয়ে নিজেই প্রহারের স্বীকার হতে হয়েছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শামছুল আলমের।
এ সময় তার সাথে থাকা স্ত্রী নাসরিনকেও মারধর করে একই গ্রামের ক্ষমতাশীল মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে তৈহিদ মিয়া। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শামছুল আলম আটপাড়া উপজেলার কাচহারপুর গ্রামের মৃত ইদু মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪দিন ধরে বুকের হাড়ের যন্ত্রনায় ১৬ নম্বর বেডে কাতরাছে। তার বুকের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কেঁেদ কেঁদে জানান,সোমবার বিকালে আমার ভাতিজা বদরুজ্জামান বিজয় তেলিগাতী বাজার থেকে সাইকেলে বাড়িতে আসার সময় মোতালিব মাষ্টারের পুকুর হারে আসলে তিনজন মহিলা ও ২ জন শিশু বাচ্চাকে দেখে বেল দেয়। বেল দেওয়ার সাথে সাথে মহিলারা গেলে গাও শিশুরা বয় হাইয়া রাস্তায় হরে গিয়ে কিছু দুখ হায়,তহন তারা আমার বাতিজারে আটকিয়ে রাহে,কিছু ক্ষণ হরে তারে চাইরে দেয়। এই রাস্তা দিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী নাসরিন যাওয়ার সময় এই কবর হাইয়া তার বাড়িতে যাই এবং আমার বাসতার হইয়া আমি মাপ চাইলেই আমাকে ও আমার বউরে তৈহিদ মিয়া মারে। আমি ৪দিন দইরা হাসপাতালে আছি ।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার একরাম উল্লাহ জানান, আমি উনাকে খেয়াল রাখার জন্য অন্য ডাক্তারদেরকে বলে দিচ্ছি। আশা করি অছিরেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ জানান, আমি কিছ্ইু অবগত নয়,তবে বিষয়টি আমি দেখছি।
তৈহিদ মিয়ার সাথে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই