টার্গেট কিলিং : পরবর্তী লক্ষ্যস্থল ঢাকা সিলেট!
নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিম টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা থেকে সরে যায়নি। ঢাকা ও সিলেটকে টার্গেট কিলিংয়ের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে সংগঠনটি। সেভাবেই সংগঠনটি প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঢাকায় আনসারুল্লাহ বাংলাটিম গোপনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। সদস্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কার্যক্রমও চলছে খোদ রাজধানীতেই। রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট ও নরসিংদীতে তাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বা মারকাজ রয়েছে।
আসন্ন ঈদে ফাঁকা হয়ে পড়া রাজধানীতে বড় কোন ঘটনা ঘটিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বা সিলেটে চাঞ্চল্যকর টার্গেট কিলিং ও তাদের কোন নেতাকে ছিনিয়ে নেয়া। এজন্য অপেক্ষাকৃত মজবুত প্রিজনভ্যানে কড়া পাহারায় জঙ্গীদের আনা নেয়া এবং জঙ্গীদের নিয়ে অভিযানকালে কড়া নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা জঙ্গী সংগঠনটির দাওয়াতি সেলের দুই শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গত ২৬ জুন রাতে রাজধানীর গে-ারিয়া ও কামরাঙ্গীরচর থেকে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার হয় আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের দাওয়াতি সেলের দুই শীর্ষ নেতা। তাদের প্রত্যেককে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এছাড়া চলতি মাসে সারাদেশে জঙ্গী বিরোধী অভিযানে ১৯৪ জঙ্গী গ্রেফতার হয়। তাদের মধ্যে অন্তত দেড়শতাধিক জঙ্গীকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের বেশিরভাগই আনসারুল্লাহ বাংলাটিম বতর্মানে আনসার আল ইসলাম নামে পরিচিত সংগঠনটির সদস্য। সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে নিষিদ্ধ আরেক জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীর। আর তৃতীয় অবস্থানে জামা’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এছাড়া হিযবুত তাওহীদ, আল্লাহর দলসহ বিভিন্ন উগ্র ও মৌলবাদী সংগঠনের সদস্য রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদকারীদের মধ্যে পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টার্গেট কিলিং সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন। বলেছেন, মূলত যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতারের পর থেকেই জঙ্গীবাদ নতুন রূপে আবির্ভূত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় টার্গেট কিলিং। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে হত্যাচেষ্টার মধ্যদিয়ে বিষয়টি খানিকটা আলোচনায় আসে। এরপর ওই বছরই গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক প্রকৌশলী আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন হত্যার মধ্যদিয়ে বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট হয়ে যায়। রাজীব হত্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সাবেক কর্মী শফিউর রহমান ফারাবী গ্রেফতারের পর আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের নাম প্রকাশ পেয়ে যায়। তার দেয়া তথ্যমতে রাজীব হত্যায় ছয়জন গ্রেফতার হয়।
গ্রেফতারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে নিজেরা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য পরিচয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে। এছাড়া বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা ও ব্লগার আরিফ রায়হান দ্বীপ হত্যায় বুয়েটেরই আরেক ছাত্র আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য মেজবাহ হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। সর্বশেষ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে হামলায় গ্রেফতারকৃত শিহাবের জবানবন্দীতে জঙ্গী সংগঠনটির বর্তমান অবস্থাও প্রকাশ পায়। শুরুর দিকে আনসারুল্লাহ বাংলাটিম পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। সেটি পরিচালনা করছিলেন জেএমবির আমির জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা কমিটির সাবেক সদস্য মুফতি মাওলানা সাইদুর রহমান জাফরের মেয়ের জামাই ইজাজ ওরফে কারগিল। কারগিল পাকিস্তানে একটি জঙ্গী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণকালে পাকিস্তানী বাহিনীর চালানোর অভিযানে তিনিসহ বাংলাদেশী চার জঙ্গী নিহত হন।
এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের যোগাযোগ কিছুটা কমে আসে। তবে যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি।
এই কর্মকর্তা বলছেন, শুদ্ধস্বর প্রকাশনায় হামলায় শিহাবের দেয়া জবানবন্দী মোতাবেক বর্তমানে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীতে ক্যু করার ব্যর্থ চেষ্টাকারী চাকরিচ্যুত মেজর ইশতিয়াক ওরফে মেজর জিয়া। তার সার্বিক নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে দেশে একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে চলছে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম। দেশের কয়েকটি জেলায় জঙ্গী সংগঠনটির কর্মকা- রয়েছে। সারাদেশে অভিযানও অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সময় গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলছে।
সেই অভিযানে গত ২৬ জুন গ্রেফতার হয় মাওলানা নাইম ওরফে সাইফুল ইসলাম ওরফে সাদ (৩০) ও সোহেল আহম্মেদ ওরফে সোভেল (৩২)। সাদ রাজধানীর গে-ারিয়া থানাধীন ফরিদাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক। আর সোহেল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানাধীন আল আরাফা ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
গত ১৩ জুন রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মোজাহিদুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম ওরফে সোলায়মান ওরফে আরাফাত গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডে এই দুই শিক্ষকের নাম প্রকাশ করে। দুই শিক্ষক রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ঘুরে অতিরিক্ত ধর্মভীরু যুবকদের টার্গেট করে। এরপর তাদের পবিত্র কোরান-হাদিসের বয়ান শোনার আহ্বান জানান। এভাবেই টার্গেটকৃত যুবকদের জঙ্গীবাদের পথে আনা হয়।
এই কর্মকর্তা বলছেন, গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক সাদ নরসিংদীতে প্রথম আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের দাওয়াতি শাখার টার্গেটে পড়েন। আর সোহেল খুলনায় জঙ্গী সংগঠনটির দাওয়াতি শাখার টার্গেটে পড়ে। তাদের কয়েক দফায় পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় তারা অপারেশনাল কার্যক্রম ও প্রক্ষিশণ কার্যক্রম চালানোর জন্য অযোগ্য বিবেচিত হয়। তবে তারা দাওয়াতি কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত বলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরপর থেকেই তাদের জঙ্গী সংগঠনটির দাওয়াতি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে তারা দাওয়াতি সেলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তারা একদিকে নিজেরাই দাওয়াতি কার্যক্রম চালায়। আবার ঢাকার জঙ্গী সংগঠনটির অন্য যারা দাওয়াতি কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবেও কাজ করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা দুই শিক্ষকের বরাত দিয়ে আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে দুই শিক্ষক জঙ্গী সংগঠনটির তৎপরতা বিষয়ে বিস্তর তথ্য দিয়েছেন। জানিয়েছেন জঙ্গী সংগঠনটির দাওয়াতি, সদস্য সংগ্রহ, মারকাজ, ট্রেনিং, টার্গেটকৃত ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, অস্ত্র, গোরাবারুদ সংগ্রহ ও স্থানান্তর, মিলিটারি, প্রযুক্তি, পরিকল্পনা ও মিডিয়া সেল রয়েছে। প্রতিটি সেলই সিøপার সেলের আদলে কাজ করে।
এরমধ্যে প্রথম ধাপে রয়েছে দাওয়াতি সেল। এ সেলের সদস্যের অধিকাংশই মাদ্রাসার তরুণ শিক্ষক। তারা একদিকে যেমন ভাল শিক্ষক, আরেকদিকে ভাল বক্তা। তাদের বয়ান মধুর। একেকটি দাওয়াতি সেলে এক থেকে পাঁচজন পর্যন্ত সদস্যও রয়েছে। তারা বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ঘুরে অতিরিক্ত ধর্মপরায়ন যুবকদের টার্গেট করে যাদের বয়স বিশ থেকে পঁচিশ বছরের উর্ধে নয়। প্রথমে তাদের পবিত্র কোরান-হাদিসের বয়ান শোনার জন্য নামাজের পর দাওয়াত দেয়া হয়। যারা থাকেন তাদের ধর্মের নানা দিক সম্পর্কে বলা হয়। এভাবে কয়েকদিন চলে। অন্তত সপ্তাহখানেক এভাবেই চলে। এরপর সর্বশেষ যারা টিকে থাকে তাদের চূড়ান্তভাবে জঙ্গী সংগঠনটির দাওয়াত দেয়া হয়। যারা দাওয়াত গ্রহণ করেন তাদের দুই থেকে তিনটি ধাপে পরীক্ষা নেয়া হয়। এসব ধাপ যারা উত্তীর্ণ হয়, তাদের পাঠানো হয় মারাকাজে। মারকাজ অর্থাৎ জঙ্গী সংগঠনটির পক্ষ থেকে ভাড়া করা নিরাপদ ফ্ল্যাট। ঢাকায় থাকা মারাকাজগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থিত। কারণ ধর্মীয় অনুভূতির কারণে মাদ্রাসায় সাধারণত কোন সময়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালায় না। এছাড়াও ঢাকার অপেক্ষাকৃত দুর্গম স্থানে মারকাজ স্থাপন করা হয়। মাদ্রাসা ছাড়া অন্যান্য মারকাজের অধিকাংশই ঢাকার চারদিকে থাকা বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত বাসাবাড়িতে।
মারকাজগুলোতে আরও বয়ান হওয়ার পর চূড়ান্ত জিহাদের দাওয়াত দেয়া হয়। যারা দাওয়াতে যাওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত বলে দাবি করে তাদের প্রথমে শুরু হয় শারীরিক প্রশিক্ষণ। শারীরিক প্রশিক্ষণ শেষে শুরু হয় অস্ত্র প্রশিক্ষণ। অস্ত্র প্রশিক্ষণের মধ্যে চাপাতি ও পিস্তল এবং রিভলবার চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে তাদের পাঠানো হয় চট্টগ্রাম হেডকোয়ার্টারে। সেখানে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ হয়। সামরিক শাখার কমান্ডার সরাসরি সেই প্রশিক্ষণ দেখভাল করেন। এরপর তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয় সিলেটে। এরপর নির্বাচিত সিøপার সেলকে পাঠিয়ে দেয়া হয় টার্গেটকৃত ব্যক্তি যেখানে অবস্থান করছে সেখানে। সাধারণত মাসখানেক আগে সিøপার সেলগুলোকে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে হত্যার জন্য পাঠানো হয়। পুরো প্রক্রিয়াটিই শুরু হয় সিøপার সেল আদলে।
অর্থাৎ কোন সেলেই ৫ থেকে ৬ জনের বেশি সদস্য রাখা হয় না। এসব সিøপার সেলই টার্গেট কিলিং করে থাকে। কিলিং মিশনে একজন হাদি (সামরিক নেতা)। প্রতিটি সিøপার সেলে থাকা হাদিকে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অপারেশন বা হত্যাকা- তদারকি করতে হয়। সিøপার সেলের সদস্যরা কেউ কারও পরিচয়, নাম-পরিচয় জানতে পারবে না। কোন ব্যক্তিগত বিষয় জানতে চাইতে পারবে না।
হত্যাকা- চালানো সিøপার সেলের কাছে টার্গেটকৃত ব্যক্তি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করার দায়িত্ব প্রযুক্তি সেলের। তারাই টার্গেটকৃত ব্যক্তি সম্পর্কে যাবতীয় সব তথ্য দিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ব্যক্তির গতিবিধি সম্পর্কিত একটি ধারণাও দেয়া হয়ে থাকে। টার্গেটকৃত ব্যক্তি যেখানে অবস্থান করেন, তার আশপাশে অস্থায়ীভাবে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে চূড়ান্ত হত্যাকা-ের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ করার দায়িত্ব থাকে অস্ত্র, গোলাবারুদ সেলের। তারাই সিøপার সেলের কাছে প্রয়োজনীয় চাপাতি ও অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ করে থাকে। এরপরই সুযোগ-সুবিধা মোতাবেক হত্যাকা- চালায়। হত্যাকা-ে চাপাতি ব্যবহার করা হয়। কারণ, এতে শব্দ হয় না। গুলির শব্দে লোকজন জড়ো হওয়ার ঝামেলা থেকে রেহাই পেতেই জঙ্গী সংগঠনটি হত্যাকা-ে চাপাতি ব্যবহার করে। আর নিজেদের রক্ষা করতে সঙ্গে পিস্তল বা রিভলবারের মতো ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। বর্তমানে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের টার্গেট কিলিংয়ের জন্য পছন্দের তালিকায় রয়েছে ঢাকা ও সিলেট। অপারেশনাল সেলের সদস্যরা সুইসাইডাল স্কোয়াডের সদস্য। তারা অপারেশন চালাতে গিয়ে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে বলে সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, গ্রেফতারকৃত দাওয়াতি শাখার দুই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সার্বিক কর্মকা- সম্পর্কে পিলে চমকানোর মতো তথ্য দিয়েছেন। তাদের তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। তারা অনেকের নাম প্রকাশ করেছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসন্ন ঈদে রাজধানী ফাঁকা হয়ে পড়ছে। বিষয়টিকে মাথায় রেখে জঙ্গীদের আনা-নেয়া এবং তাদের নিয়ে অপারেশন চালানোর সময় বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঢাকা ও সিলেটসহ কয়েকটি জেলার বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছে।-জনকন্ঠ
মন্তব্য চালু নেই