স্ত্রীকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে প্রাণ দিলেন স্বামী!

ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে প্রাণ গেল মাসুদ রানা নামে এক যুবকের। রোববার ভোর রাত ৩টার দিকে স্ত্রীকে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন তিনি। নিহত মাসুদ রানা ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সূত্রাপুর গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের ডাউটিয়া প্রতীক সিরামিক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। এদিকে নিহত ওই যুবকের মরদেহে কোনো আঘাত কিংবা হত্যা করার আলামত পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

পারিবারিক সূত্র জানায়, মাসুদ রানা স্ত্রী সাহিদা আক্তারকে ভোর রাত ৩টার দিকে দুনিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিতে যায়। এ সময় স্থানীয় ইসরাফিফর বাহিনীর সদস্যরা স্ত্রীকে তারই সামনে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধষর্ণের চেষ্টা চালায়। এতে তিনি বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে বিভিন্ন কায়দায় পিটিয়ে ও নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর চলে যায়। এরপর স্ত্রীর ডাক চিৎকারে পথচারী ও স্থানীয়রা এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে ধামরাইয়ের ইসলামপুর সরকারি আবাসিক মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী সাহিদা আক্তার স্ত্রী নির্বাক তাকিয়ে থাকছেন আর মাঝেমধ্যেই বলছেন, ইসরাফিল আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। এই একই কথা তিনি বারবার বলছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। মেডিকেল প্রতিবেদনের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন এ ব্যাপারে কোন ধারায় মামলা দায়ের হবে।

ধামরাই থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ রিজাউল হক দীপু বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন কিংবা খুনের কোনো আলামত নেই। কাজেই মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কাজেই এ ব্যাপারে আপাতত সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই