যে কারণে খেজুর খাবেন
ফজলে আজিম : রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয়। আর তাই ইফতারে থাকে বাহারি পদের খাবার। খাবারের তালিকায় যত খাবারই থাকুক না কেন খেজুর থাকা চাই-ই চাই। তাৎক্ষণিক প্রাণশক্তি যোগাতে খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার।
খেজুর সারা বছর পাওয়া গেলেও রমজান মাস ছাড়া ফলটি কমই খাওয়া হয়। কিন্তু আপনি কী জানেন যে, এই ফলটির মধ্যে লুকিয়ে আছে নানা রোগের মহাওষুধ। অর্গানিক ফ্যাক্টস নামের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক রয়েছে খেজুরের মধ্যে। আর তাই এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। এছাড়াও এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, ফোলেট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে।
শরীরের পেশি ও হাঁড় শক্তিশালী করার জন্য দরকার ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও মিনারেল। খেজুরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল পেশি ও হাঁড়ের গঠন মজবুত করে। এছাড়া যাদের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কম কিংবা ওজন বাড়াতে চান তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
অল্প সময় পরিশ্রম করার পর যাদের শরীরের পেশি নিস্তেজ হয়ে পড়ে তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। এতে বাড়বে আপনার মনোদৈহিক শক্তি। ক্লান্তি সহজে আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস, কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
শরীরের অভ্যন্তরীণ বিপাকক্রিয়ায় জটিলতা কমাতেও খেজুরের রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। নিয়মিত খেজুর খেলে হজম প্রক্রিয়ার জটিলতা কমে। খুব সহজেই খাবার থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে তা শরীরের প্রতিটি কোষে ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যানিমিয়া বা রক্তরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী। এছাড়া এতে পর্যাপ্ত খাদ্যশক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দূর করে ও স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
ঋতু পরিবর্তনের ফলে কম বেশি সবদেশেই কিছু মানুষের মধ্যে এলার্জির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। ২০০২ সালের এক গবেষণায় জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের সিজনাল এলার্জিতে ভুগে থাকেন। সিজনাল অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে খুব কম খাবারের মধ্যেই সালফার রয়েছে। খেজুরে বিদ্যমান সালফার সিজনাল এলার্জি প্রতিরোধ করে।
খেজুরকে শক্তিবর্ধক ফল বলা হয়। এটি পেশিকে শক্তিশালী করে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সন্তানসম্ভবা মায়েদের গর্ভস্থ শিশুর বিকাশেও খেজুর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দূর করে।
মন্তব্য চালু নেই