মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২ সন্ত্রাসীকে ২ দিনের রিমান্ডে
নাসরিন আক্তার, মুন্সীগঞ্জ থেকে : মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অনুসারি দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে দিনমজুর জনি শেখ (১৭) হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগের দুই সন্ত্রাসীকে ২দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। অস্ত্র মামলার গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অনুসারি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, শহর আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল ও ওয়াহিদুজ্জামান অপু।
এছাড়া অপর গ্রেপ্তারকৃত মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-১ এর বিচারক মো. জসিমউদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পরপরই বিকেলে আসামি বাবুল ও অপুকে জিজ্ঞাসাবাদেও থানায় নিয়ে আসা হয় বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৈয়ুবুর রহমান সোহেল জানিয়েছেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার তারাবিহ নামাজের পর মুন্সীগঞ্জ শহরের পাঁচঘড়িয়াকান্দি এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিরোধের জেরে ওই গ্রামের দিনমজুর জনি শেখকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই সময়ে স্থানীয় কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনের ভাই কালু বেপারী (৩৫) ও ভ্যান চালক মানিক সরকার (৩০)-কে গুলি করা হয়। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় সাড়াঁশি অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল ও ওয়াহেদুজ্জামান অপু, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি বিদেশী পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন, ২৩ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১১টি গুলির খোসা উদ্ধার করে। পরে সদর থানার এসআই ফয়সাল আলম বাদী হয়ে ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল ও ওয়াহিদুজ্জামান অপুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে এবং নিহত জনি শেখের বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে বাবুল, অপু, নিবির ও বাবুলের ভাই শ্যামলকে এজাহারনামীয় আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
কোর্ট পরিদর্শক মো. হারুন-উর-রশীদ জানান, অস্ত্র মামলায় তাদের ওই দুইজনকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করা হয়েছে আগামী রোববার। এ ঘটনায় আটক আরেকজন হরগঙ্গা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদকে অস্ত্র মামলায় আটক দেখানো হয়নি। তাই পুলিশ তার বিরুদ্ধে আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন করেনি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে শহরের পাঁচঘড়িয়াকান্দি গ্রামে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গ্রুপের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল ও শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগরের মধ্যে বিরোধের জেরে গ্রামের ভ্যানচালক মনির হোসেনের ছেলে ফার্নিচারের রং মিস্ত্রি জনি শেখকে গুলি করে হত্যা করে বাবুল গ্রুপ।
মন্তব্য চালু নেই