২৬ সিদ্ধান্ত অনুমোদন
নতুন সরকারের ৩৭টি সিদ্ধান্তের ১৯টি বাস্তবায়ন
নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার ১০ বৈঠকে নেয়া ৩৭টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৯টি বাস্তবায়ন হয়েছে। জনবলের অভাবে মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া গত তিন মাসে ২৬টি সিদ্ধান্তের সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৫১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার মোট ১০ টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা বলেন, ‘১০ টি বৈঠকে গৃহীত ৩৭টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৯ টি বাস্তবায়িত হলেও ১৮ টি এখনো বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ২টি নীতি ও কর্মকৌশল এবং ৬টি চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে। সংসদে পাশ হয়েছে ২টি আইন।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। বিলম্বের কারণ চিহ্নিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।’ তিনি জানান, তার নেতৃত্বে বিষয়টি পর্যালোচনা করে কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন ও অর্থ বিভাগ এবং সচিব কমিটির সুপারিশ লাগে।
‘পদ সৃষ্টি কঠিন কিছু নয়’ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জনপ্রশাসন এবং উদ্যোগী মন্ত্রণালয় পদ সৃষ্টি করতে পারে।’
‘প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদের জন্য সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ প্রয়োজন’ উল্লেখ করে মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে আগের তুলনায় বেশি চাকরির আবেদন পড়ে। পিএসসি’র জনবলের অভাবেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। তাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে নতুন পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে একটি অনুশাসন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন ও পিএসসি সচিব মিলে মেকানিজম ডেভেলপ ও সুপারিশের জন্য বলেছে। দরকার হলে আমরা একটি কমিটি করে দেব।’
মন্তব্য চালু নেই