রমজানে তিন স্তরে নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি

রমজান মাসে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। আর এ জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে জানিয়েরছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া।

শনিবার মতিঝিলের ঢাকা চেম্বারের সম্মেলন কক্ষে রমজান মাস উপলক্ষে আয়োজিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়ক ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এ সভার আয়োজন করে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীতে রমজান মাসে তিন ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে। এর মধ্যে পহেলা রমজান থেকে ১০ রমজান, ১১ থেকে ২০ এবং ২১ রমজান থেকে ঈদ পর্যন্ত এই তিনভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে। যেসব শপিংমলে নারীদের উপস্থিতি বেশি থাকে সেখানে নারী পুলিশ মোতায়েন করা হবে। যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য রেল, নৌ-টার্মিনাল ও বাস টার্মিনালে কমিউনিটি পুলিশ এবং কন্ট্রোল সেন্টার চালু করা হবে।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজদের ঢাকা শহরে স্থান হবে না। পুলিশ ও চাঁদাবাজ একসঙ্গে থাকতে পারে না। এসময় রমজানে দ্রব্যমূল্য ও অপরাধ তৎপরতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও ব্যবসায়িক মূল্যবোধের কিছুটা হলেও অবক্ষয় হয়েছে। পরকালের কথাও আমাদের ভাবতে হবে।

রমজানে যাতে অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম না বাড়ে সেজন্য আগেই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে এ চক্রের ৮২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকে দলীয় কর্মীদের চাঁদাবাজি হয় ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব এলাকায় চাঁদাবাজি হয় সেখানে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আপনাদের কাছে কোনো খবর থাকলে পুলিশকে জানাবেন। এ বিষয়ে বিশেষ তদারকি ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।

পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিছু পুলিশের অসৎ কর্মকাণ্ডের জন্য পুরো পুলিশ বিভাগ দায়ী নয়। আপনারা অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পণ্য মজুদদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএমপির এই কমিশনার বলেন, কোনো ব্যবসায়ীর কাছে, কী ধরনের পণ্য কোন এলাকায় মজুদ করা আছে- গোয়েন্দা নজরদারি করে সেসব তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। যদি কেউ দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পণ্য মজুদ করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অপরাধতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জিয়াউর রহমান।

ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ।



মন্তব্য চালু নেই