কামারুজ্জামানের সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাৎ
সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ করেছেন তার আইনজীবীরা।
সাক্ষাৎ শেষে জেলগেটে আইনজীবীরা জানান, রিভিউ পিটিশনের সুযোগ দেওয়া না হলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধীতা করে তারা বলেন, তিনি আইনের ভিত্তিতে কথা বলেননি। এ ছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যেরও বিরোধীতা করেন তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। সকাল সোয়া ১০টায় কামারুজ্জামানের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আইনজীবী ব্যারিষ্টার নাজিব মোমেনকে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। কামারুজ্জানের সঙ্গে যে চার আইনজীবী সাক্ষাৎ করেছেন তারা হলেন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আখন্দ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মশিউল আলম। কারাগারে তারা কামারুজ্জামানের সঙ্গে আইনী বিষয়ে আলোচনা করেন। বেলা সোয়া ১১টায় সাক্ষাৎ শেষে আইনজীবীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
এরআগে বুধবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার পরিবারের নয় সদস্য।
ওই দিন সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাড়িতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, জেলকোড ও আইন মেনে কারা কর্তৃপক্ষকে কামারুজ্জামানকে ফাঁসি কার্যকর করার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ থাকবে। যখন থেকে তিনি ফাঁসির আদেশের কথা জেনেছেন তখন থেকে ৭ দিনের মধ্যেই প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে রায় শোনার সাতদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে যেকোন সময় ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
এরআগে দুপুরে আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে জরুরি বৈঠক করেন তিনি।
গত বছরের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। গত সোমবার আপিলের চূড়ান্ত রায়েও ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
মন্তব্য চালু নেই