না ফেরার দেশে সাংবাদিক সাদেক খান
প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট সাদেক খান ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন সাদেক খান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিনি গোসল করতে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে বেলা ১২টার দিকে দরজা ভেঙে তাকে বাথরুমের ভেতরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাদেক খানের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে দৈনিক সংবাদে সাংবাদিকতা শুরু করেন সাদেক খান। তরুণ বয়সে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার নদী ও নারী সিনেমাটি মুক্তি পায় ষাটের দশকে। ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশ গণশক্তি দল’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।
ষাটের দশকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা বিচারপতি আবদুল জব্বার খানের ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে সাদেক খানই ছিলেন সবার বড়। তার ভাই রাশেদ খান মেনন বর্তমান সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী। বোন সেলিমা রহমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়।
সাদেক খানের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই