আড়াই হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ হচ্ছে

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কেটেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় ফেজের। অবশেষে এ সংক্রান্ত পদ সৃষ্টির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার ২ হাজার ৫৯৫ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের পদ অনুমোদন হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এর ফলে দেশের মোট ৫১৯ বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমসংখ্যক প্রধান শিক্ষক এবং ২ হাজার ৭৬ জন সহকারী শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ হতে যাচ্ছে। চলতি মাসের যেকোনো সময় মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে ওসব প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষকের চাকরি তিন ধাপে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত হয়।

প্রথম ধাপে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে, দ্বিতীয় ধাপে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে এবং তৃতীয় ধাপে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয়করণ হবে বলে ঠিক করা হয়।

প্রথম ধাপে ২২ হাজার ৯৫৬টি বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের গেজেট প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মে মাসে শিক্ষকদের চাকরি সরকারি করা হয়। এর পরই দেখা দেয় জটিলতা। ২০১৩ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ২৫২টি স্কুল জাতীয়করণ হয়।

২০১৫ সালের জুলাইয়ে তৃতীয় ধাপে ৫৫৭টি স্কুল জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এসব স্কুলের প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের বেতন-ভাতাও বন্ধ ছিল। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৯৫ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ হচ্ছে এবার।



মন্তব্য চালু নেই