কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তরমুজ খাওয়ার পর ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। তরমুজ খাওয়া ওই পরিবারের সাতজনসহ অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালোয়া গ্রামে এ ঘটনায় মারা যায় ওই গ্রামের আসকর আলীর ছেলে অনিক (১১) ও মেয়ে স্মৃতি (৯)। অসুস্থদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, ওই তরমুজে কোনো রাসায়নিক দেয়া হয়ে থাকতে পারে। নিহতদের পরিবার জানায়, দুপুরে আসকর আলী কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে যান বাড়িতে। এরপর ওই তরমুজ তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা একসঙ্গে খায়। এর কিছুক্ষণ পরই তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে স্মৃতি মারা যায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে অনিকের মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সালেক মাসুদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তরমুজে কোনো রাসায়নিক দেয়ার ফলে তার বিষক্রিয়ায় ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্য কোনো কিছু খাওয়ার ফলেও এমনটি ঘটে থাকতে পারে। কুমারখালী থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ তরমুজ বিক্রেতা রেজাউলকে আটক করেছে। এ সময় দোকান থেকে ১৯টি তরমুজও জব্দ করা হয়। আটক রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এদিকে তরমুজ ‘খেয়ে’ মৃত্যুর এই ঘটনা তদন্তে ঢাকা থেকে একটি গবেষক দল পাঠিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তরমুজ খেয়ে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়ে ইনস্টিটিউটের প্রধান অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, “তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
মন্তব্য চালু নেই