নিষ্ফল বৈঠক, জাহাজ ধর্মঘট চলবে
জাহাজ মালিকদের চলমান ধর্মঘট নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। ফলে চলমান জাহাজ ধর্মঘট অব্যাহত থাকছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে শনিবার দুপুরে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা চলা বৈঠকে জাহাজ মালিক, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে চলমান ধর্মঘটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় আগামীকাল রোববার পর্যন্ত বৈঠক মূলতবি রাখা হয়েছে। আগামীকালের সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার পর চলমান ধর্মঘট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম।
বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বন্দর ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, তারা তাদের সমস্যার কথা বন্দর চেয়ারম্যানকে অবিহিত করেছেন। বৈঠকে এ বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তবে তারা আজই কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারছেন না। এ নিয়ে অন্যান্য জাহাজ মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে রোববার সিদ্ধান্ত হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর অতিরিক্ত মজুরি চাপিয়ে দেওয়ার কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার জাহাজ না চালানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। ফলে চট্টগ্রামে বহির্নোঙ্গরে নয় দিন ধরে পণ্য লাইটারিং বন্ধ রয়েছে।
জাহাজ মালিকরা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া অতিরিক্ত মুজরি দিয়ে জাহাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে তারা পোষাতে পারবেন না।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও নৌপথে চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে ২০ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে সারা দেশে নৌযান ধর্মঘট শুরু করে। পরে সরকারে সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ কিছু দাবি মানার পর প্রায় আট দিনের মাথায় ২৭ এপ্রিল বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নৌযান শ্রমিকরা।
মন্তব্য চালু নেই