সিম নিবন্ধনে অপারেটরদের আবেদন : বাড়তে পারে সময়

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সময় বাড়তে পারে। বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, সিম নিবন্ধনের কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে মুঠোফোন অপারেটররা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে তারা। আজ (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে চলমান বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে নতুন কোনো নির্দেশনা আসতে পারে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চালু থাকা মোট সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮ লাখ। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি গ্রাহক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করেছেন। সে হিসেবে এখনো প্রায় অর্ধেকের মতো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের বাকি রয়েছে।

জানা যায়, সিম নিবন্ধন শেষ করতে দুই মাস (৩০ জুন পর্যন্ত) সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে গ্রামীণফোন। অন্যদিকে, বাংলালিংক এক মাস (আগামী ৩১ মে পর্যন্ত) সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।

সময় বাড়ানোর কারণ সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়েছে, আদালতের শুনানি চলার ছয় সপ্তাহে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমে অনেকটা ভাটা পড়ে। এ ছাড়া দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ ও সিলেট অঞ্চলের আকস্মিক বন্যার কারণেও সিম নিবন্ধন কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই নিবন্ধনের সময় যৌক্তিকভাবে বাড়ানো দরকার।

অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল ফোন অপারেটরসের (অ্যামটব) মহাসচিব ও প্রধান নির্বাহী টিআইএম নুরুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, শুধু গ্রামীণফোন বা বাংলালিংক নয়, অন্য অপারেটরদের পক্ষ থেকেও একই আবেদন করা হয়েছে। গ্রাহকদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিবন্ধন করার আগ্রহ রয়েছে। এ বিবেচনায় সময় বাড়ানো উচিত।

উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল নিবন্ধনের শেষ তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই