‘পুরো ঢাকা শহরে সিসি ক্যামেরা’

রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি বসালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুনিদের সহজেই বের করতে পারবে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে খুনিদের সহজে শনাক্তও করা যাবে। এটি সকলকে নিরাপদও রাখে।

কলাবাগান থানাধীন উত্তর ধানমন্ডির ৩৫ নম্বর বাসায় জোড়া খুনের ঘটনাস্থল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিদর্শন শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা কোপানোর পরপরই জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয়ের মৃত্যু হয়। চাপাতি দিয়ে কোপানোর ফলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আইজিপি বলেন, এর আগে এ ধরনের যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার সঙ্গে সোমবারের ঘটনার হুবুহু মিল রয়েছে। এর আগে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনারও বিভিন্ন ধরনের আলামত জব্দ করা হয়েছে। খুব শিগগির হত্যাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়বে। হত্যাকারীরা যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শহীদুল হক বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই নগরবাসীকে সিসি ক্যামেরা বসানো দরকার। প্রতিটি এলাকায় সমিতি রয়েছে। ওই সব সমিতির মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে সহজেই সম্ভব হবে। তারা ওই সব এলাকার প্রতিটি বাড়ি থেকে টাকা তুলে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ করবে। যেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা লাগবে, সেখানেই সহায়তা করা হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এক দল দুর্বৃত্ত কলাবাগানের বাসায় ঢুকে মার্কিন দূতাবাসের প্রাক্তন কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব তনয়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।



মন্তব্য চালু নেই