শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘুরে ফিরে আসছে যে প্রশ্নটি

প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের পর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানকে ডিবি কার্যালয়ে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে জাসাস নেতা মোহাম্মদ মামুনের সঙ্গে তার সম্পৃতা নিয়ে ডিবি কর্মকর্তাদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। জয়কে অপহরণের পরিকল্পনার সঙ্গে ঠিক কারা কারা জড়িত সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জয়কে অপহরণ করে হত্যা ষড়যন্ত্রের মামলায় গ্রেপ্তার করার পর রিমান্ডের প্রথম দিন ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ঘুরে ফিরেই এসেছে বিষয়টি। শনিবার ডিবি পুলিশ তাকে পাঁচ দিনের রিমাণ্ডে নেয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাঁকে ডিবির ক্যান্টিন থেকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে তাঁর চাহিদা অনুযায়ী। শনিবারই তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ বাসা থেকে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিবি কর্মকর্তা বলেন, শফিক রেহমান সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। মামলার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কর্মকর্তা। তবে তিনিও তার অবস্থান থেকে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।

গতকাল শনিবার সকাল আটটার সময় তার ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শফিক রেহমানের সঙ্গে দেখা করার জন্য ডিবি অফিসে গেলও প্রায় আধা ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও দেখা পাননি তার স্ত্রী তালেয়া রহমান। বাসা থেকে স্বামীর জন্য নিয়ে আসা খাবার ও ওষুধপত্র পৌঁছে দেয়া হয় শফিক রেহমানের কাছে।

তবে গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রহমান বলেন, তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের রোগী। তাকে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। গতকাল আমি ওষুধ ও নাস্তা নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ডিবি অফিসের ওয়েটিং রুম থেকে আমার কাছ থেকে নাস্তা ও ওষুধ নিয়ে তার কাছে পৌছে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ওনি তার অবস্থান থেকে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। ডিবি অফিসে তিনি ভালো আছেন বলেও জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।



মন্তব্য চালু নেই