দইয়ের উপকরী সাত গুণ
দই পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ভোজন রসিকরা যখন তখনই নিয়ে বসেন একবাটি দই। এছাড়া পোলাও কুরমা খাওয়ার পর প্লেটে একচামচ দই না হলে খাওয়াতে যেন পূর্ণতৃপ্তি আসে না। বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন, বিয়ে, জন্মদিন বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে খাবার পর্ব শেষে একটুখানি দই চাই-ই। পুষ্টিবিদদের মতে মুখরোচক এই দই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। হজম শক্তি বৃদ্ধি করার সঙ্গে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক বাটি দই রাখলে স্বাস্থ্যগত অনেক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেয়া যাক দইয়ের উপকরী সাতটি গুণ সম্পর্কে..
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে
আধুনিক যুগে বেশিরভাগ মানুষই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অল্প বয়সী মানুষেরাও এখন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। দই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। ফলে হৃদরোগকে প্রতিরোধ করে দারুণভাবে।
দাঁত ও হাড় মজবুত
দইয়ে আছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি যা হাড় এবং দাঁত মজবুত করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম আছে যা দাঁত মজবুত করে থাকে। এটি হাড়ের রোগ অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
হজম বৃদ্ধি
দই হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় এটি অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে মিশে এর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে থাকে। দইয়ের মধ্যে কিছু উপাকারী ব্যাকটেরিয়া আছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে থাকে।
ওজন কমায়
পুষ্টিবিদদের ডায়েট চার্টে দই বিশেষভাবে উল্লেখ থাকে। দইয়ে ক্যালসিয়াম আছে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি দেহের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করে।
ত্বকের যত্ন
ত্বক পরিচর্যায় দই আদিকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক উপহার দেয়।
মানসিক চাপ কমায়
টক দই মানসিক চাপ ও দুশিন্তা কমাতে সাহায্য করে। ইউসিএলএ এর স্কুল অফ মেডিসিনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে টক দই আবেগ নিয়ন্ত্রন করে মানসিক চাপ ও দুশিন্তা কমিয়ে থাকে।
মন্তব্য চালু নেই