নাটোরের গুরুদাসপুরে তিন বছরের মেয়েকে বিষ খাওয়ানোর পর নিজেও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় মায়ের সঙ্গে মেয়েরও মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- খলিলুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও তার মেয়ে রুমানা খাতুন। শনিবার রাতে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের সাধুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে গুরুদাসপুর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম খান জানান। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ অবস্থায় মা ও মেয়েকে নাটোর সদর হাসপাতালে আনা হয়। বিষক্রিয়ায় দুজনই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন জানিয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ায় তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাত ৮টার দিকে দুজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে খলিলুর ও পেয়ারার মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই ‘মনোকষ্টে’ পেয়ারা তার শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে পরে নিজেও বিষপান করেন বলে মনে করছেন চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার সময় বাড়িতে অন্য কেউ ছিলেন না। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাদের হাসপাতালে আনে। পেয়ারার স্বামী খলিলুর বলেন, “আত্মহত্যা করার মত কোনো কারণ ঘটেনি। আমি ঘটনার সময় বাইরে ছিলাম। জানার পর তাদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি।” এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি ফরিদুল জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই