দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ
বায়তুল মোকাররমে গোলাম আযমের জানাজা সম্পন্ন
শনিবার দুপুর ১টার পর পরই জামায়াত-শিবিরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বায়তুল মোকাররমের উত্তরগেটে নিয়ে যায়। বাদ জোহর সেখানে গোলাম আযমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার পর জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের লাশ নিয়ে বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা।শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে করে লাশ নিয়ে আসা হয়। বায়তুল মোকাররমে গোলাম আযমের জানাজা ঠেকানোর লক্ষে কয়েকটি সংগঠনের তৎপরতা ও কয়েকদফা বোমা বিস্ফোরণের পরও তার লাশ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দিকে যাত্রা করা হয়।
আজ দাফনও হবে।সকাল থেকেই গোলাম আযমের মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেয়ার জন্য প্রস্তত করা হয়েছিল।সেখানে বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়া্র কথা।সকাল থেকেই দলীয় নেতারা ভিড় জমিয়েছেন তার মরদেহ দেখার জন্য মগবাজারের বাসায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গোলাম আযমের আইনজীবী তাজুল ইসলাম এবং রাত পৌনে সাতটার দিকে রাজধানীর মগবাজারের কাজি অফিস লেনের বাসার সামনে সাংবাদিকদের একই কথা জানিয়েছেন গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী।তিনি বলেন,শনিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এর পরই যত দ্রুত সম্ভব তাঁর লাশ মগবাজারের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় গোলাম আযমের মরদেহ বহনকারী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাশবাহী গাড়িটি তাঁর বাসার গ্যারেজের ভেতর থেকে বের করে বাসার সামনের সড়কে রাখা হয়।এর আগে মরদেহ পোস্ট মর্টেমের পর তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।শুক্রবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে এসময় গোলাম আযমের লাশ গ্রহণ করেন তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহিল আযমী। পরে তার লাশ রাজধানীর মগবাজারে নিজের বাসায় নেয়া হয়।যেখানে আগে থেকেই শত শত লোক তাকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মন্তব্য চালু নেই