ফসিলের ৭ স্মার্ট ওয়াচ এবং ট্রেকার
বিখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফসিল এ বছরের মধ্যে ১০০ টি সংযুক্ত ডিভাইস উম্মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। এই অঙ্গীকার পূরণ করতে পারলে তারা অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান মাইকেল করস, আরমানি এবং টরি বার্চকে অতিক্রম করে যেতে পারবে। সে লক্ষ্য পূরণ করতে নতুন ৭টি স্মার্টওয়াচ এবং ট্রেকার আনার ঘোষণা দিয়েছে ফসিল।
মঙ্গলবারে ফসিল বিভিন্ন ফ্যাশনেবল এই ট্র্যাকার এবং অ্যানালগ ও ডিজিটাল ওয়াচে স্মার্ট প্রযুক্তি সংযুক্ত করে প্রযুক্তি বাজারে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। এটি ফসিল ব্র্যান্ডের কিউ লাইন আপ। সহজেই বলা যেতে পারে, ফসিল গ্রুপ একটি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রযুক্তিতে আরও স্মার্ট এবং আধুনিক ঘড়ি আনতে যাচ্ছে এই বছরেই।
ফসিলের অ্যানালগ ওয়াচগুলো সাধারণ কোন ঘড়ির মত নয়। এই ঘড়ি গুলোতেও রয়েছে আধুনিক যন্ত্রাংশ। এই ঘড়িটি ব্লুটুথের মাধ্যমে অ্যানড্রয়েড অথবা আইফোনের সাথে সংযুক্ত করে ক্যালরি, ঘুমের পরিমাণ, স্বয়ংক্রিয় টাইম জোন এবং দ্বিতীয় টাইম জোন সবকিছুই জানিয়ে দেবে। আর এর সবকিছুই হবে অ্যানালগ ডায়ালের একটি ক্ষুদ্র সেকশনে।
ফসিল গুগলের সাথে যৌথ প্রযোজনায় গুগল’স অ্যানড্রয়েড সফটওয়্যারের সাথে সমন্বয় করে কিউ মার্শাল এবং কিউ ওয়ান্ডার স্মার্টওয়াচ তৈরি করার চেষ্টা করছে। যা সাধারণ স্মার্টওয়াচগুলোর লুকিং এর চেয়ে ভিন্ন হবে। স্মার্টওয়াচ গুলোর মধ্যে থাকবে ২ রকমের সাইজ। ৪৪ ও ৪৬ মিলিমিটারের এই ঘড়ি গুলোতে টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে থাকবে।
এই ঘড়িগুলোতে ক্যালেন্ডার দেখার এবং বিভিন্ন অ্যাপস ভেনমো, টিন্ডার এবং ডেল্টা ব্যবহার করে ফ্লাইট অ্যালার্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মডেল একই রকমের হলেও ঘড়িগুলোর ডিজাইনে থাকবে ভিন্নতা। কিউ ওয়ান্ডার মডেলে মাল্টি ফিনিশ কেস এবং পরিবর্তন যোগ্য চামড়ার বেল্ট রয়েছে। মার্শাল টউটসে থাকবে শক্তিশালি কেস এবং নেভি ব্লু রঙে পাওয়া যাবে। কিউ ফাউন্ডার ঘড়ি গুলোতে কল ও বার্তা গ্রহণ এবং বর্জনের সুযোগ থাকবে। ঘড়িগুলোতে থাকবে তারবিহীন চার্জ দেয়ার সুবিধা।
অন্যদিকে কিউ ওয়ান্ডার এবং মার্শালের স্মার্ট ট্রেকার গুলোতে রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু ফিচার। এই ব্যান্ড গুলোতে কল নটিফিকেশন এবং বার্তা সংক্রান্ত নটিফিকেশন পাওয়া যাবে। এই ডিভাইসগুলোতে হ্যাপটিক ভাইব্রেশন এবং এলইডি লাইট রয়েছে। ফিটনেস ব্র্যাসলেট গুলো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বার্তা গুলো ধারণ করে মোবাইল স্ক্রিনে প্রদর্শন করবে।
স্মার্টওয়াচগুলোর মূল্য হবে ২৭৫ ডলার এবং ফিটন্যাস ট্রেকারের মূল্য ৯৫ ডলার। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া বাংলাদেশি টাকায় ২০ হাজার এবং সাত হাজার ৬০০ টাকা।
মন্তব্য চালু নেই