কিশোরগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষনের স্বীকার ॥ থানায় মামলা

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলার তিন ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় ৯ম শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রী গণধর্ষনের স্বীকার হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ও রণচন্ডি ইউনিয়নের মেলাবর বুড়িরশিল ও জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায়। সরেজমিনে গিয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মান্নান ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, বুধবার বিকালে ইউসুফিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ক্লাশ শেষে বাড়ী ফেরার পথে টটুয়ার ডাঙ্গা এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোক মেয়েটি তুলে নিয়ে মেলাবর বুড়িরচর এলাকার একটি ভুট্রা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে কয়েকজন ধর্ষন করে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি সেখান থেকে উঠে পার্শ্ববর্তী একটি ক্যানেলে ধর্ষনের কারণে রক্তাক্ত অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য তার পরনের পায়জামা ধোয়ার সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। নিজের লজ্জা এড়াতে মেয়েটি উপস্থিত লোকদের দেখে মুখে ঘোমটা দিয়ে মুখ লুকায়। পরে কয়েকজন মহিলা মেয়েটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পার্শ্বের একটি বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং একটি পায়জামা পড়তে দেয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মান্নান মেয়েটির কাছে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে মেয়েটি আবার জড়ো সরো হয়ে আবার মুখে ঘোমটা দিয়ে ভূয়া পরিচয় দেয়। কিন্তু অনেক চাপ প্রয়োগের পর মেয়েটি ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। মাদ্রাসা সুপারের মাধ্যমে মেয়েটি পরিচয় নিশ্চিত হলে মেয়ের বাবা জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের টটুযাপাড়ার মহিদুল ইসলাম ও মেয়ের নানা মনসুর আলীকে খবর দেয়া হয়। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় সাথে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটির নানা মনসুর আলী জানান,ধর্ষিতা মেয়েটির ১৪ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরেছে। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি তার নানাকে জানান,ঘটনার সাথে জড়িত পিকআপের চালক রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাখুলি এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে মারুফুল ইসলাম (৩০) ও একই এলাকার সফি মিয়ার ছেলে হেলপার সাইফুল ইসলাম ছোট (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন মিলে তাকে হাত,মুখ, ও চোখ বেঁধে পিকআপে করে নির্জন একটি ভুট্রা ক্ষেতে পালাক্রমে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। তার নানা সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে এসব কথা বলেন। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষন মামলা করা হয়েছে। ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহজাহান আলী জানান, দুই জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।



মন্তব্য চালু নেই