এক কিশোরকে ইটভাটায় আটকে রেখে নির্যাতন
লক্ষ্মীপুরে শাহজাহান নামে এক কিশোরকে ইটভাটায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই ইটভাটার মাঝি ও মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলেও কিশোরটি এখন যন্ত্রনায় হাসপাতালের বিছানায় কাঁতরাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই অভিযোগের দোষীরা যাতে শাস্তি পায়।
পাঁচ মাস আগে কুমিল্লার লালমাই এলাকার এবিএম ইটভাটার মালিক শাহনাজের ইটভাটায় কাজে যোগ দেয় শাহজাহান। প্রতিদিনের মতো ৫ মার্চ কাজ শেষ করার পরও অতিরিক্ত কাজ করার জন্য শাহজাহানকে চাপ দেয় ইটভাটার মাঝি বেলাল। শাহজাহান অপারগতা জানালে বেলাল ও তার দুই ভাই শাহজাহানের হাত-পা বেধে বর্বর নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের শিকার শাহজাহান বলেন, আগুনের লাকড়ী দিয়ে আমারে ছেক্যা দিয়ে, আমারে পিডাইছে।
অন্যদের সহায়তায় ইটভাটা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে শাহজাহান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, শাহজাহানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও আগুনের ছেঁকার কারণে শরীর স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল করিম বলেন, তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিলো। তার আঘাত আছে: আই ভ্রুতে, থুতনিতে শেলাই আছে। এছাড়া তার হাতের ঘা-দাগ আছে।
ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে, শাহজাহানের পরিবার ও এলাকাবাসী।
শাজাহানের বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, তিনি বাই(ভাই) মিলে মার-ধর করি পোলাড়ার(ছেলে) গায়ের ছাল(চামড়া) উডি(উঠাইয়া) ফেলাইছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কবির আহম্মদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং দোষীদের রিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন ও তার দুই ভাইকে সাথে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই