আ.লীগ নেতার বন্দুকে ২ কিশোরসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে হাওড়ে মাছ ধরতে গেলে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুই কিশোরসহ চার জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামালগঞ্জ-তাহিরপুর সীমান্তবর্তী বোইগ্যানী বিলে মাছ ধরতে গেলে ওই কিশোর ও যুবকদের লক্ষ্য করে গুলি করেন তিনি।
গুলিবিদ্ধরা হলো- উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের ইসলাম পুর এলাকার আবু সামাদের ছেলে গোলাপ মিয়া (২৪), একই এলাকার জম্মাত মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (১৬), কামাল মিয়ার ছেলে মাহমুদ আলী (১৭), হারিছ মিয়ার ছেলে আলী নূর (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় জামালগঞ্জ-তাহিরপুররের সীমান্তবর্তী বেহেলীর ইসলামপুর এলাকার লোকজন ঠ্যালা জাল দিয়ে শনির হাওড়ের বোইগ্যানী বিলে মাছ ধরতে ধরতে যান। এ সময় ওই বিলের ইজারাদার তাহিরপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে চার জনের কারও শরীরে, কারও পেটে, কারও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ রাসেল মিয়ার বাবা জম্মাত মিয়া জানান, বিলের ইজারাদার শফিকুল নিজের হাতে বন্দুক দিয়ে তার ছেলেসহ চার জনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে আছেন। ছেলের চিকিৎসা চলছে।
তবে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এইমাত্র আপনার মাধ্যমে খবরটা জানতে পারলাম। হাসপাতালে গিয়ে বিয়টা খতিয়ে দেখবো।’
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. হানিফ জানান, সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন শনির হাওড়ের বোইগ্যানী বিলে মাছ চুরি করতে যায়। এ সময় বিলের ইজাদার আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম তাদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে শফিকুল ইসলাম গুলি ছোড়েন। তবে ঠিক কয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারনেনি।
জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, গুলিবিদ্ধ চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সুনামগঞ্জ সদর ও সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়ছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই