ঢাকা মহানগরে বাড়ির মালিকদের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

আগামী রোববার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এর আগে গত ১ মার্চ ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম থেকে পুলিশকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেন এই আইনজীবী।

আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর কমিশনারদের এ নোটিশ পাঠানো হয়।

ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনগত সহায়তা করতে আমি ইচ্ছুক। তবে যে সহায়তা তারা চাইছেন, তা তাদের আইনগত এখতিয়ারে পড়ে না। এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়ার মতো কোনো আইনি সুযোগ পুলিশের নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পুলিশ যেভাবে সংগ্রহ করছে, তা করার মতো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পুলিশের নেই। এসব তথ্যের অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। তাছাড়া এসব তথ্য যদি কোনো ভুল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে পড়ে, তাহলে ব্যক্তির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে।’

সংবিধানে নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুলিশের এ উদ্যোগে তা ভঙ্গ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এ আশঙ্কা থেকেই তিনি রিট আবেদন করেছেন বলে জানান।

প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক পৃষ্ঠার যে ফরম ভাড়াটিয়াদের পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ভাড়াটিয়ার ছবির পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখসহ বাসার বাসিন্দা এবং গৃহকর্মী ও ড্রাইভারদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লোগো সম্বলিত ওই ফরমের ফটোকপি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আবার তা সংগ্রহ করছেন পুলিশ সদস্যরা।