বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ঠাকুরগাঁওয়ের এক স্কুল ছাত্রী
শরিফুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক ছাত্রী। প্রশাসন ও মহিলা পরিষদের হস্তক্ষেপে শুক্রবার বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পায় এই ছাত্রী । পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত বরকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের ১৯২৯ এর ৪ ধারায় ১ হাজার টাকা ও দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অন্যদিকে মেয়ের চাচাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ১৯২৯ এর ৬ ধারায় ১ হাজার টাকা ও দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ১ হাজার টাকা ও মেয়ে দাদাকে ১৯২৯ এর ৬ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেদুল ইসলাম প্রধান এ রায় প্রদান করেন। এরপর মেয়ে দাদা ও চাচার কাছে মুচলেকা নেওয়া হয় যে মেয়েকে অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কোথাও বিয়ে দেবেন না ও পড়াশুনা চালিয়ে যাবে এবং বরের কাছে নেওয়া হয় অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো মেয়েকে বিয়ে করবে না উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ খবর পেয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করতে পুলিশ সুপার ফারহাদ আহম্মেদ এসআই আতিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠান। এর পর ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেদুল ইসলাম প্রধান ও মহিলা পরিষদ ঠাকুরগাঁও শাখার সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব ,মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক বিন্দ ওই সময় ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হন এবং সবাই মিলে বিয়ে বন্ধ করে দেন। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেদুল ইসলাম প্রধান ও মহিলা পরিষদ তাদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেদুল ইসলাম প্রধান উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পড়াশুনার খরচ চালানো আশ্বাস দেন। ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাদ আহম্মেদ বলেন, বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবর পেয়েই ওই বিয়েবন্ধে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই।
মন্তব্য চালু নেই