মেঝেতে শুয়ে অমানবিক দিন কাটছে মান্নার

আইনের মারপ্যাঁচে আটকে রাখা হয়েছে কারান্তরীণ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার জামিন আবেদন। কারাগারের নোংড়া পরিবেশে মেঝেতে শুয়ে অমানবিকভাবে জীবন কাটছে তার।

এমন অভিযোগ এনে সংগঠনের নেতারা বলেছেন, এ ঘটনাই প্রমাণ করে মান্নার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। তিনি (মান্না) দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাই প্রতিহিংসামূলকভাবে মান্নাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত মান্নার মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা এ কথা বলেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গতবছর ২৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। ১৮ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে। ২৪ ফেব্রুয়ারি দু’টি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে।

গ্রেপ্তারের পর থেকে গত একবছর সংগঠনটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। নেতারা বলেন, গত ভোটারবিহীন সংসদ নির্বাচনকে গণতন্ত্রের কলঙ্ক আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার কারণেই মান্নার সরব কণ্ঠ স্তব্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ফলে এখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মতো তৃণমূল পর্যায়েও প্রতিদ্বন্দ্বীহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার ঘটনা দেখতে হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার লক্ষ্যে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলেন। কারাগারে মান্নার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি, ডিভিশনও দেয়া হয়নি। মেঝেতে শুয়ে অমানবিকভাবে কারাগারে থাকতে হচ্ছে তাকে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্য সচিব নঈম জাহাঙ্গীর, গণফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুল হক সরকার, শহীদুল্লাহ কায়সার, মাহমুদ জামাল কাদেরী, হাজী ইসলাম উদ্দিন, ইফতেখার আহমেদ বাবু, রাজু আহমেদ খান, অধ্যাপক আনামুল হক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই